শনিবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে ষাটার্ধ্বে হেলাল উদ্দিন মারা যান বলে নিশ্চিত করেছেন বাসাইল থানার ওসি হারুন অর রশিদ।
হেলাল উদ্দিন ফুলকি ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের বালিয়া উত্তরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
হেলালের মৃত্যুর খবর পেয়ে বালিয়া উত্তরপাড়া গ্রামে যান ওসি। সেখানে তিনি নিহতের পরিবার, প্রতিবেশী ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন।
তাদের বরাত দিয়ে দুপুরে ওসি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় আহত হয়ে মারা গেছেন হেলাল। হেলাল ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য পদপ্রার্থী আব্দুল আজিজের সমর্থক ছিলেন। হামলার জন্য হেলালের পরিবার প্রতিদ্বন্দ্বী জামাল উদ্দিন ও তার সমর্থকদের দায়ী করেছেন। দুই প্রার্থীই নির্বাচনে পরাজিত হন।”
হামলার সময় বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয় জানিয়ে ওসি বলেন, এ ঘটনায় শুক্রবার ১২ জনকে আসামি করে একটি মামলা হয়েছিল। আসামি গ্রেপ্তারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
হেলালের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে জানিয়ে ওসি বলেন, মৃত্যুর ঘটনায় আলাদা মামলা হবে।
এ দিকে পরাজিত প্রার্থী আব্দুল আজিজ হামলার ঘটনার বর্ণনা দিয়ে গণমাধ্যমকে বলেন, “বুধবার ভোটের দিন আমরা সবাই কেন্দ্রে ছিলাম। আমার চাচা (হেলাল উদ্দিন) অসুস্থ হওয়ায় তিনি আর চাচী বাড়িতে ছিলেন। বাড়িতে আর কোনো পুরুষ মানুষ ছিল না।”
”বিকালের পর প্রতিপক্ষ জামাল উদ্দিন ও তার সমর্থকরা বাড়িতে এসে ভাঙচুর করে। আমার চাচী বাধা দিলে তাকেও জখম করে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০টি বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়’, দাবি করেন আজিজ।
তবে এ ব্যাপারে প্রতিপক্ষ জামাল উদ্দিনের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।