নির্বাচনী সহিংসতা: শৈলকুপায় আরও একজনের মৃত্যু

ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার সারুটিয়া ইউনিয়নে নির্বাচনী সহিংসতায় আহত আরও একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ঝিনাইদহ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Jan 2022, 07:49 AM
Updated : 8 Jan 2022, 08:39 AM

শনিবার ভোরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আবদুল রহিম নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয় বলে শৈলকুপা থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম জানান।

আবদুল রহিমের (৫০) বাড়ি উপজেলার কৃষ্ণনগর গ্রামে। তিনি কাতলাগাড়ী বাজারে নৈশপ্রহরী হিসেবে কাজ করতেন এবং নৌকার প্রার্থীর সমর্থক ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে ওসি বলেন, “গত ২৩ ডিসেম্বর আব্দুর রহিম কাতলাগাড়ী বাজারে যাচ্ছিলেন। পথে প্রতিপক্ষের লোকজন তাকে কুপিয়ে জখম করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমমে শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। কুষ্টিয়া হাসপাতালে রহিমের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

স্বতন্ত্র প্রার্থী জুলফিকার কাইছার টিপুর সমর্থকদের হামলায় রহিম গুরুতর আহত হয়েছিলেন বলে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহমুদুল হাসান মামুনের দাবি।

এ ব্যাপারে টিপুর কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

শৈলকুপা থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম জানান, নির্বাচনী তফশিল ঘোষণার পর সারুটিয়া ইউনিয়নে একের পর এক নির্বাচনী সহিংসতা ঘটছে। সহিংসতার জেরে ৩১ ডিসেম্বর ও ১ জানুয়ারি পর পর দুটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

৩১ ডিসেম্বর কৃষ্ণনগর আবাসনের বাসিন্দা হারান বিশ্বাসকে হত্যা করা হয়। এর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই প্রতিপক্ষের হাতে খুন হন ভাটবাড়িয়া গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে জসিম উদ্দিন (৪০)। এরপর ৬ জানুয়ারি মারা যান কীর্তিনগর গ্রামের নিবারণ সরকারের ছেলে অখিল সরকার। তিনি হামলায় আহত হয়ে পাঁচদিন চিকিৎসাধীন ছিলেন।

নিহত সবাইকে নিজের সমর্থক বলে দাবি করেছেন মাহমুদুল হাসান। সহিংসতার মধ্যেই গত ৫ জানুয়ারি সারুটিয়া ইউনিয়নে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তিনি জয়ী হয়েছেন।