চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে মিজান গাজী (৫৫) নামে এই ব্যক্তি মারা যান বলে হাইমচর থানার ওসি মাহবুবুর রহমান মোল্লা জানান।
মিজান উপজেলার ২ নম্বর উত্তর আলগী ইউনিয়নের বাসিন্দা।
বুধবার ভোটের দিন ইউনিয়নের জামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় মিজান আহত হন।
ওসি মাহবুবুর সাংবাদিকদের বলেন, “নির্বাচনের দিন মিজান গাজীকে মারধর ও ইটপাটকেল দিয়ে আঘাত করা হয়। দুই পক্ষের সংঘর্ষকালে তার তলপেটে ঢিল পড়ে। তাকে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সকালে সেখানেই তিনি মারা যান।”
এ নিয়ে হাইমচর উপজেলায় নির্বাচনী সহিংসতায় দুইজনের মৃত্যু হল। এছাড়া জেলার কচুয়া উপজেলায় নিহত হয়েছেন আরও একজন।
পঞ্চম ধাপে ৭০৮ ইউপিতে ভোট চলার মধ্যে চার জেলায় নয়জনের প্রাণহানির তথ্য দেয় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। এর মধ্যে বগুড়াতেই মারা যান পাঁচজন। একই দিন সারা দেশে সহিংতায় আহত হয় অন্তত অর্ধশত।
এর আগে চার ধাপের ভোটে বেশ কিছু এলাকায় সহিংসতা ও গোলযোগ হয়েছে। ভোটের আগে, ভোটের দিন ও পরে ইতোমধ্যে অর্ধশতাধিক লোকের প্রাণহানির তথ্য গণমাধ্যমে এসেছে।