বুধবার রাত ৮টা দিকে সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে ওই হামলার ঘটনার পর দীপুকে শহরের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে বলে তার স্ত্রী বর্ণা খাতুন জানান।
বুধবার কাওয়াকোলা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হন ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি জিয়াউর রহমান জিয়া মুন্সী। আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে প্রার্থী হওয়ায় ভোটের আগেই তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল।
সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান দীপু ভোট চলাকালে তার এলাকার বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে দেখে রাত ৮টার দিকে উপজেলা পরিষদ চত্বরে আসেন। সেখানে তিনি জিয়া মুন্সীর সমর্থকদের হামলার শিকার হন বলে বর্ণা খাতুনের অভিযোগ।
তিনি বলেন, “দীপুর মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করে থেঁতলে দেওয়া হয়েছে। মারপিটে তার নাকের হাড় ভেঙে গেছে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ক্লিনিকে ভর্তি করে।”
খবর পেয়ে সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি হেলাল উদ্দিন ও সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হাসনা হেনা দেখতে যান দীপুকে।
হেলাল উদ্দিন বলেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করতে গিয়ে ভাইস চেয়ারম্যান দীপু ‘বিদ্রোহী প্রার্থীর সর্মথকদের হামলার শিকার’ হয়েছেন।
এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘‘আজই (বৃহস্পতিবার) এ বিষয়ে দলীয় ফোরামে সিদ্বান্ত নেওয়া হবে।”
অভিযোগের বিষয়ে জিয়া মুন্সীর বক্তব্য জানতে তাকে কয়েকবার ফোন করা হলেও সাড়া পাওয়া যায়নি। তবে এক ফেইসবুক পোস্টে তিনি হামলার ঘটনার নিন্দা এবং জড়িতদের শাস্তি দাবি করেছেন।
সদর থানার ওসি নজরুল ইসলাম বলছেন, হামলার ঘটনাটি তিনি ‘শুনেছেন’। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেবেন।