ভোটের সংঘাত, গাবতলীতে নিহত ৪

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বগুড়ার গাবতলী উপজেলার বালিয়াদীঘি ইউনিয়নে জনতার সঙ্গে সংঘর্ষের মধ্যে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে চারজন নিহত হয়েছেন; আহত হয়েছেন আরও অন্তত দুই জন।

বগুড়া প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 Jan 2022, 05:29 PM
Updated : 5 Jan 2022, 06:28 PM

কালাইহাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ শেষে বুধবার রাতে স্থানীয় জনতার সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এই সংঘর্ষ হয় বলে গাবতলী মডেল থানার ওসি জিয়া লতিফুল ইসলাম জানান।

নিহতরা হলেন কালাইহাটা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আমির হোসেনের স্ত্রী কুলকুস বেগম (৪৫), একই গ্রামের আব্দুর রশিদ (৪৮), খোরশেদ আলী (৭০) ও মো. আলমগীর (৪০)।

আহত কালাইহাটা গ্রামের রাকিব (১৫) ও আব্দুল্লাহ্কে (৪৫ বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নির্বাচনের ফলাফল কেন্দ্রের বাইরে অন্যত্র ঘোষণা করা হবে – এমন সন্দেহ থেকে বুধবার ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার পর পরই বিক্ষুব্ধ জনতা কালাইহাইটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র ঘেরাও করে। এরপর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তারা নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত সরকারি কর্মকর্তাদের লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়তে শুরু করে।

ওসি লতিফুল বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সদস্যরা বিক্ষুব্ধ জনতাকে নিবৃত্ত করত গেলে সংঘর্ষ শুরু হয়। প্রায় এক ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ চলাকালে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পরে গুলি চালিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। গুলিতে চারজন নিহত হন। 

বালিয়াদিঘী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মোট তিন জন প্রার্থী হলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত ইউনুস আলী ফকির (নৌকা), বিএনপি সমর্থক স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহবুবর রহমান (ঘোড়া) ও বিএনপি নেতা সাকিউল ইসলাম তিতু (চশমা)।

বগুড়ার জ্যেষ্ঠ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহবুব আলম শাহ বলেন, প্রতিটি কেন্দ্রের ভোট স্ব স্ব কেন্দ্রে গণনা করে সেখানেই ফলাফল ঘোষণার নির্দের্শনা রয়েছে। কাজেই এক কেন্দ্রের ভোট অন্য কোথাও গণনার কোনো সুযোগ নেই।

তিনি বলেন, “আমি যতদূর শুনেছি এর আগে অনুষ্ঠিত বালিয়াদীঘি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কালাইহাটা কেন্দ্রের ফলাফল কোনো এক কারণে উপজেলা পরিষদে গণনা করা হয়েছিল। এবারও সেটা করা হতে পারে বলে জনগণের মধ্যে এক ধরনের সন্দেহ ছিল। সেই সন্দেহ থেকেই তারা ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার পর গণনার সময় চড়াও হয়।”

কালাইহাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সংঘর্ষের বিষয়ে জানতে চাইলে ওই কেন্দ্রে ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্বপালনকারী শাজাহানপুরের ইউএনও আসিফ আহমেদ বলেন, “আমি বর্তমানে কথা বলার পর্যায়ে নেই। পরিস্থিতি কন্ট্রোল করছি। পরে কথা বলব।”