বুধবার দুপুরে মেরুরচর হাছেন আলী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এই সংঘর্ষ চলাকালে গাড়িতে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে।
এতে বকশীগঞ্জ থানার ওসিসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।
অপরদিকে, দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় দুপক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার মধ্যে একটি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে।
এতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সিদ্দিকুর রহমান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মনোয়ার হোসেনের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়।
জামালপুর পুলিশ সুপার [এসপি] নাছির উদ্দিন আহম্মেদ জানিয়েছেন, সংঘর্ষ চলাকালে বকশীগঞ্জ থানার ওসির পিকআপসহ চারটি মোটরসাইকেলে আগুন, পুলিশের আরও দুটি পিকআপ ভাংচুর করা হয়। এছাড়া বকশীগঞ্জ থানার ওসি শফিকুল ইসলাম সম্রাট ও পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুর রহীমসহ অন্তত পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। কয়েকজন ভোটারও আহত হয়েছেন।
“পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ বেশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ করেছে।”
ভোট কেন্দ্রে সহিংসতার ঘটনায় সাত জনকে আটক করা হয়েছে জানিয়ে এসপি বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত সকলকে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।
এদিকে, দেওয়ানগঞ্জের হাতিভাঙ্গা ইউনিয়নের আমখাওয়া পূর্বপাড়া আজিজুল হক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এক চেয়ারম্যান প্রার্থীর লোকজন জোরপূর্বক নিজেদের প্রতীকে সিল মারা শুরু করলে উপস্থিত ভোটাররা বাধা দেন। এ নিয়ে দুই পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
পরে এই কেন্দ্রটির ভোটগ্রহণ স্থগিত করেন প্রিসাইডিং অফিসার আশহাব উল বারী আকন্দ।
আশহাব উল বারী আকন্দ সাংবাদিকদের বলেন, “গোলযোগের কারণে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে।”