বরগুনা থানার ওসি একেএম তারিকুল ইসলাম জানান, ১৫ বছর বয়সী ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে সোমবার থানায় ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন।
আসামিরা হলেন- বরগুনা পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম ও তার ছেলে আরিফ।
মেয়েটির মা জানান, সংসার চালাতে তাকে প্রতিদিন বাজারে সবজি বিক্রি করতে হয়। তার স্বামী নেই। তাই কাজের জন্য বাইরে গেলে মেয়েকে বাসায় একাই রেখে যেতে হত। নুরুল ইসলামের মেয়ে ও তার মেয়ে একটি বয়সী এবং তারা বান্ধবী। ফলে তার মেয়ে প্রায়ই নুরুলের বাসায় থাকতো।
ওই কিশোরীর অভিযোগ, নুরুল ইসলামকে সে খালু ডাকে। বাসায় গেলে নুরুল তাকে মাঝে মাঝে ভাল খাবার দিতো। এক পর্যায়ে বিয়ে করার কথা বলে তাকে ধর্ষণ করে নুরুল। এভাবে কয়েক মাস ধরে নুরুল তাকে ধর্ষণ করে।
“এর মধ্যে একদিন নুরুলের ছেলে আরিফ তার বাবার সঙ্গে আমার সম্পর্কের কথা সবার কাছে বলে দেওবার ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে। এভাবে আরিফ আমাকে আরও দুইদিন ধর্ষণ করে।”
ওসি বলেন, মেয়েটি ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে পাড়ার লোকজন ঘটনাটি জেনে যায়। রোববার এ বিষয়ে মেয়েটির পরিবার জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ করলে তিনি বরগুনা সদর থানায় ব্যবস্থা নিতে বলেন। এর প্রেক্ষিতে সোমবার রাত সাড়ে ১২টায় প্রথমে নুরুল ইসলামকে এবং আধা ঘণ্টা পরে তার ছেলে আরিফকে আটক করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।