বৃহস্পতিবার দুপুরে সাহেবরামপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ওই ছাত্রকে প্রতিপক্ষের লোকজন পিটিয়ে আহত করে বলে অভিযোগ করেন তার দাদি জাহানার বেগম।
আহত হাসানাত ফকির (২০) কালকিনি উপজেলার সাহেবরামপুরের আন্ডারচর গ্রামের শাহাবুল ফকিরের ছেলে। তিনি সাহেবরামপুর কবি নজরুল কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী।
এলাকাবাসী ও আহত ছাত্রের স্বজনরা জানান, কালকিনি উপজেলার সাহেবরামপুর ইউপি নির্বাচনে নৌকার পক্ষে নির্বাচন করেন হাসনাত। নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন মাহাবুবুর রহমান মুরাদ সরদার। নৌকার প্রার্থী কামরুল হাসান সেলিম পরাজিত হন।
হাসনাতের দাদি জাহানার বেগম বলেন, মাসখানেক আগে এই ইউনিয়নে নির্বাচন হয়। এরপর প্রতিপক্ষের হামলার ভয়ে তিনি এলাকা থেকে পালিয়ে ছিলেন। কলেজের পরীক্ষার কারণে আবার এলাকায় আসেন।
জাহানারা বলেন, বৃহস্পতিবার এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের সমাজবিজ্ঞান পরীক্ষা শেষে হল থেকে বের হয়ে বাড়ির দিকে রওনা দেন। এ সময় কয়েকজন যুবক তাকে রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করে ফেলে রাখে। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে কালকিনি হাসপাতালে ভর্তি করে।
জাহানার বেগমের ভাষ্য, ‘নৌকার নির্বাচন করার অপরাধে’ হাসানাতকে পিটিয়ে জখম করেছে। তিনি হামলাকারীদের বিচার দাবি করেছেন।
নৌকার প্রার্থী কামরুল হাসান সেলিম বলেন, “মুরাদের বিজয়ী হওয়ার পর সাহেবরামপুর এলাকায় সাধারণ মানুষের বসবাস করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তার লোকজন আমার লোকজনের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে আমার কর্মী ওই কলেজছাত্রের উপর হামলা করেছে।”
বিজয়ী চেয়ারম্যান মাহাবুবুর রহমান মুরাদের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কিছু জানেন না বলে জানান।
এ ব্যাপারে কালকিনি থানার ওসি ইসতিয়াক আসফাক রাসেল বলেন, “লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”