ঝালকাঠির নদীতে আরও ২ মরদেহ, পোড়া লঞ্চের বলে ধারণা

ঝালকাঠিতে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ষষ্ঠ দিনে নদীতে আরও দুই অজ্ঞাতপরিচয় মরদেহ ভেসে উঠেছে।

ঝালকাঠি প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 Dec 2021, 10:19 AM
Updated : 29 Dec 2021, 10:19 AM

তাদের একজন নারী আর অন্যজন পুরুষ বলে বরিশাল ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক কোবাদ আলী সরকার জানান।

সদর উপজেলার চরবাটাকান্দা এলাকায় সুগন্ধা নদী থেকে বুধবার সকাল সাড়ে ৮টায় নারীর মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়। আর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলার রাজাপুর উপজেলার বিশখালি নদীর ডহর শংকর এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয় পুরুষের মরদেহটি।

তাদের বসয় আনুমানিক ৪০ বছর। দুইজনের শরীরেই পোড়া দাগ রয়েছে।

ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা কোবাদ আলী বলেন, “পোড়া দাগ দেখে ধারণা করা হচ্ছে তারা লঞ্চের আগুনে দগ্ধ হন।”

এ নিয়ে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের পর বুধবার দুপুর পর্যন্ত পাঁচজনের মরদেহ পাওয়া গেল।

আর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা পুলিশের হিসেবে ৪৪ জন।

ঝালকাঠি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, নদী থেকে উদ্ধার করা পাঁচ মৃতদেহের মধ্যে দুইজনকে শনাক্ত করেছেন স্বজনরা। বাকি তিনজনের মরদেহ শনাক্ত হওয়ার পর ময়নাতদন্ত শেষে হস্তান্তর করা হবে।

শুক্রবার ভোরের দিকে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে লঞ্চটিতে আগুন লাগলে বহু যাত্রী পানিতে ঝাঁপ দেন। তাছাড়া দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে আছেন অর্ধশতাধিক।

অগ্নিকাণ্ডের পর দিনভর পোড়া লঞ্চ ও নদী থেকে যাদের মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস, তাদের ২৪ জনকে শনাক্ত না করতে পেরে গণকবর দেওয়া হয়।

ঝালকাঠি সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অসিত সরকার বলেন, ঝালকাঠি ও বরগুনায় সিআইডি পুলিশের পক্ষ থেকে নিখোঁজদের স্বজনদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত দুই জেলায় মোট ৪৭ জনের নমুনা সংগ্রহ করেছে পুলিশ।

লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ঝালকাঠি থানায় দায়ের করা দুই মামলায় বুধবার দুপুরে পোড়া লঞ্চটি জব্দ করেছে পুলিশ।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই নজরুল ইসলাম বলেন, লঞ্চ থেকে পোড়া দুটি মটরসাইকেল আলামত হিসেবে নিয়ে গেছে পুলিশ।

একের পর এক মরদেহ উদ্ধার হওয়ায় প্রতিদিনই স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে ঝালকাঠি সদর থানা, লাশকাটা ঘর আর সুগন্ধা পার। সুগন্ধা ও আশপাশের নদী-খালে স্থানীয় জনগণ, ফায়ার সার্ভিস, কোস্টগার্ড ও নৌপুলিশ উদ্ধার অভিযান অব্যাহ রেখেছ।