পটুয়াখালীতে ভোটের পর সংঘর্ষ, গুলিতে একজনের মৃত্যু

পটুয়াখালীতে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোট পুনরায় গণনা নিয়ে দুইপক্ষের সংঘর্ষের সময় গুলিতে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।

পটুয়াখালী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Dec 2021, 05:39 AM
Updated : 27 Dec 2021, 05:39 AM

নিহত আবদুল খালেক (৫২) জেলার রাঙ্গাবালী উপজেলার নয়ারচর গ্রামের হাফেজ মিস্ত্রির ছেলে।

রোববার সন্ধ্যায় চরমোন্তাজ ইউনিয়নে নয়ারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে তিনি মারা যান বলে চরমোন্তাজ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই মো. মিজানুর রহমান জানান।

স্থানীয়দের ভাষ্য, ভোট শেষে গণনার পর ৮ নম্বর ওয়ার্ডে সদস্য প্রার্থী  মো. আলমগীর মালকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। প্রতিপক্ষ মো. জিয়াউর রহমানের সমর্থকরা ভোট পুনরায় গণনার দাবি জানান। এতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে কেন্দ্রের মধ্যেই দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। এ সময় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা গুলি করেন। সংঘর্ষের সময় আবদুল খালেক গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।

তবে পুলিশ বলছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে তার মৃত্যু হয়নি।

এসআই মিজান বলেন, “ঘটনাস্থলে উপস্থিত আনসার, বিজিবি, পুলিশ ও র‌্যাব সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েক রাউন্ড গুলি চালান। তবে মিজানের শরীরে যে দুটি গুলির চিহ্ন রয়েছে তা দেখে বোঝা যাচ্ছে আমাদের ফোর্সের গুলি না।”

অধিকতর তদন্তের জন্য লাশের ময়নাতদন্ত করতে পটুয়াখালী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে বিজয়ী ঘোষিত সদস্য প্রার্থী মো. আলমগীর মাল বলেন, “ভোট গণনা শেষে আমাকে বিজয়ী ঘোষণা করলে আমি চলে আসি। পরে শুনেছি সংঘর্ষ হয়েছে। গুলিতে একজন মারা গেছে।”

তিনি এর বেশি কিছু বলতে চাননি। কী নিয়ে উত্তেজনা সে সম্পর্কেও তিনি কিছু বলতে চাননি।

পরাজিত প্রার্থী মো. জিয়াউর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।

রোববার দেশের ৮৩৬ ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন হয়। তাতে জয়-পরাজয়ের দ্বন্দ্বে বিভিন্ন জায়গায় সংঘর্ষ হয়; মারা যান অন্তত তিনজন।