উপজেলার নরিনা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম টেক্কা অভিযোগ করেছেন, বৃহস্পতিবার রাতে হামলা চালিয়ে তাকে আহত করা হয়।
নৌকার প্রার্থী আবু শামীমের বিরুদ্ধে তিনি এই অভিযোগ করেছেন।
সাইফুল বলেন, বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে প্রচারণা শেষে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। সে সময় হামলা চালানো হয়।
“নৌকার প্রার্থী আবু শামীমের সমর্থকরা অতর্কিতে হামলা চালায়। তারা কাঠের বাটাম ও লোহার রড দিয়ে আমাকে ও আমার ভাজিতাকে বেধড়ক মারপিট করে। স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, পরে সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করান। মারধরে আমার ডান পা, বাম হাত ও ডান হাতের একটি আঙ্গুলের হাড় ভেঙে গেছে। এছাড়া সারা শরীর জখম হয়েছে।”
তার অনুপস্থিতিতে প্রতিদ্বন্দ্বী পক্ষ যেন জনমনে আতঙ্ক ছড়াতে না পারে সেজন্য কর্মী-সমর্থকদের মনোবল বৃদ্ধির লক্ষ্যে তিনি হাসপাতাল ছেড়ে পথে পথে ঘুরছেন বলে দাবি করেন।
তবে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নৌকার প্রার্থী আবু শামীম।
শামীম বলেন, “লোকমুখে শুনেছি সাইফুল হামলার শিকার হয়েছেন। কে বা কারা হামলা করেছে এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না।”
হামলার ঘটনায় ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ১০-১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে বলে শাহজাদপুর থানার ওসি শাহিদ মাহমুদ খান জানিয়েছেন।
ওসি বলেন, হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। পরে প্রার্থীর এক স্বজন বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।
চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে রোববার জেলার শাহজাদপুর উপজেলার ১০টি, চৌহালী উপজেলার সাতটি ও কামারখন্দ উপজেলার চার ইউনিয়নে ভোট হওয়ার কথা রয়েছে।