ইউপি নির্বাচন: ভোলায় পাল্টাপাল্টি হামলার অভিযোগ

পঞ্চম ধাপের আসন্ন ইউপি নিবাচন ঘিরে ভোলা সদরের দুটি ইউনিয়নে হামলার পাল্টপাল্টি অভিযোগ তুলেছেন আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।

আহাদ চৌধুরী তুহিন ভোলাবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Dec 2021, 02:11 PM
Updated : 24 Dec 2021, 02:11 PM

পশ্চিম ইলিশা ও রাজাপুর ইউনিয়নে শুক্রবার এই হামলার ঘটনা ঘটে বলে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের অভিযোগ। 

আহতদের মধ্যে কয়েকজন ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

আগামী ৫ জানুয়ারি পঞ্চম ধাপে এই দুই ইউনিয়ন পরিষদের নিবাচন অনুষ্ঠিত হবে।

পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের স্বতস্ত্র প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান মো. গিয়াস উদ্দিনের অভিযোগ, শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তিনি ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাগার হাট এলাকায় একটি জানাজার নামাজ পড়ার পর বাড়ি ফিরছিলেন।

“এই সময় প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. জহিরুল ইসলামের সমর্থকরা তাদের উপর হামলা চালায়। এতে ১৫ জন আহত হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, পরে আহতদের হাসপাতালে পাঠিয়ে বাড়ি ফেরার সময় আবার আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকরা হামলায়।

এতে তিনি নিজে [স্বতন্ত্র প্রার্থী গিয়াস উদ্দিন], তার মেয়ে জান্নাত বেগম, ছেলে সুমনসহ ১০ জন আহত হয়ে ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে গিয়াস জানান।

আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো. জহিরুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তার সমর্থকরা সকাল থেকে পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় প্রচার-প্রচারণা করছিলেন। পরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর বাড়ির সামনে প্রচার-প্রচারণা করতে গেলে স্বতন্ত্র প্রার্থীর নেতৃত্বে তার সমর্থকদের উপর হামলা চালায়। এতে ১৫/২০ জন তার সমর্থক আহত হন।

এদের মধ্যে দুই জনের অবস্থা ‘আশঙ্কাজনক’ হওয়ায় তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল পাঠানো হয়েছে বলে জহিরুলের ভাষ্য।

তিনি আরও জানান, তিনি আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পাওয়ার পর থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী গিয়াস উদ্দিন তার লোকজন দিয়ে একের পর এক হামলা চালিয়ে যাচ্ছেন তাদের উপর।

তিনি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

অপরদিকে রাজাপুর ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল হক মিঠু চৌধুরীর অভিযোগ, জনতা বাজার এলাকায় তার প্রচার-প্রচারণা করার সময় আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো. মিজানুর রহমানের সমর্থকরা হামলা চালিয়ে ১০ জনকে আহত করেছে।

সুষ্ঠু ভোট করতে তিনি প্রশাসনের হস্তপেক্ষ কামনা করেছেন।

তবে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো. মিজানুর রহমান অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা অভিযোগ করেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীর লোকজন নৌকার সমর্থকদের উপর হামলা চালায়। এতে তার ২/৩ জন আহত রয়েছেন। এখন স্বতন্ত্র প্রার্থী ‘নাটক’ করে তাদের উপর দোষ চাপাচ্ছেন।

ভোলা মডেল থানার ওসি মো. এনায়েত হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে কোনো পক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ করেনি।