চরজব্বার থানার ওসি মো. জিয়াউল হক জানান, রোববার সন্ধ্যায় জেলার সুবর্ণচর উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের চর মোজাম্মেল ঘাট থেকে মেয়েটির মরদেহ উদ্ধার করেন তারা।
মৃত সেতারা বেগম (৩০) ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ১০ নম্বর ক্লাস্টারের ১৩ নম্বর কক্ষের নূর মোহাম্মদের মেয়ে।
ওসি বলেন, রোববার বিকালে চর মোজ্জামেল ঘাটে রোহিঙ্গা নারী নূর বাহার ও তার মেয়ে সেতারা বেগমকে দেখতে পান স্থানীয়রা। এ সময় সেতারাকে জ্বরে কাঁপতে দেখে স্থানীয়রা অটোরিকশা করে তাকে হাসপাতালে নেওয়ার চেষ্টা করেন।
“পথে চর নোমান এলাকার স্থানীয় এক পল্লী চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।”
সেতারা বেগমের মায়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০/২৫ দিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন সেতারা। এর মধ্যে তিনদিন আগে দালালের মাধ্যমে ভাসানচর থেকে পালিয়ে কক্সবাজারের কুতুপালং যাওয়ার উদ্দেশ্যে মাছ ধরার নৌকাযোগে পালিয়ে আসেন তারা।
দালালরা শনিবার রাতে তাদের সুবর্ণচরের চর মোজাম্মেল ঘাটে নামিয়ে দেয় বলে নূর বাহার জানান।
চরজব্বার থানার ওসি জিয়াউল বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ নোয়াখালী জেনারেল হাসপতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্প কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কক্সবাজারের ক্যাম্প থেকে এক লাখ রোহিঙ্গাকে অধিকতর নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিতে দুই হাজার ৩১২ কোটি টাকা ব্যয় করে ভাসানচরে আবাসন প্রস্তুত করে বাংলাদেশ সরকার। গত বছরের ডিসেম্বর থেকে এক হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গাকে নিয়ে ভাসানচরে স্থানান্তর প্রক্রিয়া শুরু করে সরকার। এ পর্যন্ত ছয় দফায় ১৮ হাজার ৫২১ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নেওয়া হয়। আরও ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
এখানে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের স্থানান্তর শুরুর পর থেকে বিভিন্ন সময় রোহিঙ্গাদের পলায়ন করার ঘটনা ঘটেছে। অনেকে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে আবার ফেরতও এসেছে।