‘পরকীয়ার সন্দেহে’ গৃহবধূর চুল-ভ্রু কাটলেন স্বামী

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে স্ত্রীর ‘বিবাহবহির্ভূত’ সম্পর্কের সন্দেহে মারধর করে চুল ও ভ্রু কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে।

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Dec 2021, 05:56 PM
Updated : 19 Dec 2021, 05:56 PM

গত সোমবার [১৩ ডিসেম্বর] উপজেলার খাস সাতবাড়িয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

দুই সন্তানের জননী এই নারীকে সিরাজগঞ্জ বেগম ফজিলাতুননেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এই নারী ও তার স্বামীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাড়াশ সদরের এই মেয়ের সঙ্গে শাহজাদপুরের খাস সাতবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল রশিদের ছেলে মেহেদি হাসান সুজনের বিয়ে হয় ২০০৬ সালে। তাদের দুই মেয়ে রয়েছে।

সুজনের স্ত্রীর অভিযোগ, সবকিছু স্বাভাবিক নিয়মে চললেও হঠাৎ করে তার উপর সন্দেহ করতে থাকেন স্বামী সুজন। সুজনের সন্দেহ স্ত্রী পরকীয়ায় জড়িয়েছেন। এমন ভাবনা থেকেই বছর খানেক ধরেই স্ত্রীর উপর নির্যাতন চলছে। 

স্বামীই পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ার কারণে তার উপর অত্যাচার শুরু করেন বলে স্ত্রীর ধারণা।

তিনি অভিযোগ করেন, গত ১৩ ডিসেম্বর রাতে দুজনের মধ্যে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে সুজনসহ শ্বশুরবাড়ির অন্যরা মিলে তার উপর নির্যাতন চালান। এ সময় স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়িসহ অন্যরা মিলে তার মাথার চুল ও ভ্রু কেটে দেন।

খবর পেয়ে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।

সিরাজগঞ্জ বেগম ফজিলাতুননেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক রোকনুজ্জামন বলেন, মেয়েটির সারা শরীরেই আঘাতের চিহৃ রয়েছে। তিনি মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বেশি।

স্বামী মেহেদি হাসান সুজনের দাবি, তার স্ত্রীর পরকীয়ায় বাধা দেওয়ার কারণেই তাদের সংসারে অশান্তি। সেটি নিয়ে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়েই তিনি তার স্ত্রী ওপর শারীরিক নির্যাতন করেছেন।

‘মাথার চুল ও ভ্রু কেটে দেওয়ার’ কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, “অতিরিক্ত রেগে কাজটি করে ফেলেছি।” 

গৃহবধূর মা সাংবাদিকদের বলেন, বিভিন্ন সময়ে মেয়ের উপরে নির্যাতন করে বাড়ি পাঠিয়ে আবার গ্রাম্য প্রধানদের সহায়তায় ক্ষমা চেয়ে ফিরিয়ে নিয়ে যেতেন সুজন।

“কিন্তু এবার অমানবিক নির্যাতনে মেয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে।”

তিনি এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান।