শহরের ব্যাণিজিক এলাকা থেকে শুরু করে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, আবাসিক এলাকা এবং শহরে প্রবেশের সড়কে এসব ক্যামেরা বসানো হয়েছে।
জেলার পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান বলেন, নাগরিকদের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশি নজরদারি জোরদার করার জন্য এসব ক্যামেরা বসানো হয়েছে।
প্রায় তিন মাস ধরে এসব ক্যামেরা বসানোর কাজ চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, এর ফলে ইতোমধ্যেই শহরে অপরাধ তুলনামূলকভাবে কমতে শুরু করেছে। এই প্রক্রিয়ায় নাগরিকদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সুরক্ষিত হবে ।
পুলিশের পাশাপাশি সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও আবাসিক ভবনের বাসিন্দারাও অনেকে নিজ উদ্যোগে সিসিটিভি ক্যামেরা বসিয়েছেন।
শহরের আলিপুর রওশন খান সড়কে নতুন বাড়ি নির্মাণ করেছেন ব্যাংক কর্মকর্তা হাদী নান্নু। তার ভবনে স্থাপন করা হয়েছে একাধিক সিসিটিভি ক্যামেরা।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, পরিবার ও ভাড়াটিয়াদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে এই উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি।
দক্ষিণ ঝিলটুলির বাসিন্দা কামরুল হাসানও সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর কথা ভাবছেন।
তিনি বলেন, “বিভিন্ন সময়ে ঘটা সহিংসতা, চুরির ঘটনা দেখে মনে হয়েছে, আমাদের ভবনের নিরাপত্তার জন্য এটা বসানো দরকার। তাহলে অপরাধী অপরাধ করার আগে দুইবার চিন্তা করবে।”
আলিপুর রেড় ক্রিসেন্ট মাকের্টের স্মার্ট ভিউ দোকানের মালিক মোহাম্মদ গোলাম রাব্বি রনি বলেন, “আগের তুলনায় সিসিটিভি ক্যামেরা বিক্রি বেড়েছে। মানুষজন নিরাপত্তার বিষয়ে বেশ সচেতন হয়ে উঠেছে। এসব সরঞ্জামের দামও এখন অনেক কম। তাই অনেকেই নিরাপত্তার জন্য এসব কিনছেন।”
জেলা শহরের বাইরে থেকেও অনেক ক্রেতা আসছেন বলে তিনি জানান।
ফরিদপুর সচেতন নাগরিক কমিটির সভাপতি শিপ্রা গোস্বামী বলেন, “সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের ফলে সম্প্রতি মটরসাইকেল চোর চক্র, কয়েকজন ছিনতাইকারীকে আইনের আওতায় আনতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। এই উদ্যোগ অবশ্যই নাগরিকদের নিরাপত্তা বৃদ্ধি করবে।”
সিসিটিভি ক্যামেরা সচল রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি কবিরুল ইসলাম সিদ্দিকী।