শুক্রবার বিকাল ৪টায় এ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং।
উদ্বোধন শেষে মারমা শিল্পী গোষ্ঠীর সভাপতি চথুইপ্রু মারমার পরিচালনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়। এতে মারমা, চাকমা, ত্রিপুরা, তঞ্চঙ্গ্যা, ম্রো, বম, খিয়াং, চাক, খুমী, লুসাই, পাংখোয়া ও বাঙালিরা বিভিন্ন গান পরিবেশন করেন। এছাড়া স্থানীয় শিল্পীর নানা পরিবেশনা উপস্থাপন করেন।
শুভেচ্ছা বক্তব্যে জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি বলেন, এবার থেকে পর্যটন মৌসুমে পর্যটকদের কাছে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সংস্কৃতি তুলে ধরতে প্রতি শুক্রবার জেলা প্রশাসন প্রাঙ্গণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে। সেখানে ১১টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও বাঙালিসহ ১২টি জাতির বৈচিত্র্যময় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকবে।
মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেন, “একাত্তরে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কারণে স্বাধীনতা পেয়েছি। পঞ্চাশ বছরে এসে সুবর্ণজয়ন্তী পালন করতে পারছি।
“৩০ লাখ শহীদ আর দুই লাখ মা-বোনের আত্মত্যাগের মাধ্যমে আজকের বাংলাদেশ পেয়েছি, পরিচয় পেয়েছি, ভৌগোলিক অবস্থানের পরিচয় পেয়েছি এবং মাতৃভাষায় কথা বলার অধিকার পেয়েছি।”
অনুষ্ঠানে জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এটিএম কাউছার, বিজিবির সেক্টর কমান্ডার কোরবান আলী ও সিভিল সার্জন অংসুইপ্রু মারমাসহ পর্যটক ও স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন।