তিন দিনের রিমান্ড শেষে বৃহস্পতিবার কুমিল্লার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম ফারহানা আক্তারের আদালতে তার জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।
জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার এসআই পরিমল দাস বৃহস্পতিবার রাতে সাংবাদিকদের একথা জানান।
মো. এমরান হোসেন ওরফে রিশাত (২৩) নামের এই আসামিকে সিসিটিভি ফুটেজে শনাক্ত করা হয়েছে; তদন্তেও তার নাম উঠে এসেছে বলে পরিমল জানান।
এ নিয়ে এই মামলায় তিন জন আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।
পরিমল দাস বলেন, মো. এমরান হোসেন ওরফে রিশাত তিন দিনের পুলিশ রিমান্ডে থাকাকালে জিজ্ঞাসাবাদের পর কাউন্সিলরসহ জোড়া খুন এবং আরেক আসামি শাহ আলমকে অস্ত্র ও গুলি সরবারহ বিষয়ে নিজেকে জড়িয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদানের জন্য ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
“তার জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক (তদন্ত) মঞ্জুর কাদের ভূইয়া বৃহস্পতিবার বিকালে তাকে আদালতে হাজির করেন।
আদালত ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড শেষে তাকে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেয়।
গত ২২ নভেম্বর বিকালে কুমিল্লা শহরের পাথুরিয়াপাড়ায় ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেলের সিমেন্টের দোকান থ্রি স্টার এন্টারপ্রাইজে হামলা চালায় একদল মুখোশধারী। সেখানে থাকা সোহেল এবং তার সহযোগী ওয়ার্ড শ্রমিক লীগের সভাপতি হরিপদ সাহাকে তারা গুলি করে হত্যা করে। খুনিদের এলোপাতাড়ি গুলিতে আহত হন আরও চারজন।
ঘটনার পরদিন ২৩ নভেম্বর রাতে নিহত সোহেলের ছোট ভাই সৈয়দ মো. রুমন বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।
এ পর্যন্ত মামলায় এজাহারনামীয় সাতজন ও সন্দেহভাজন তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-পুলিশ। এরই মধ্যে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন মামলার প্রধান আসামিসহ তিন জন।
এর আগে এই মামলায় আরও দুই জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
এরা হলেন নগরীর ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের নবগ্রামের সোহেল ওরফে জেল সোহেল (২৮) ও একই এলাকার প্রয়াত শামছুল হকের ছেলে মো. সাইমুন (৩০)।