আলুটিলা, রিছাংঝরনা, জেলা পরিষদ র্পাকসহ খাগড়াছড়ির বিভিন্ন পর্যটন স্পট বৃহস্পতিবার পর্যটকে মুখরিত হয়েছে।
অতিথি বাড়ায় হোটেল মোটেল ব্যবসায়ীরা ভালো ব্যবসা করছেন।
একই অবস্থা রাঙামাটির সাজেকেও। পর্যটকদের খাগড়াছড়ি হয়ে সাজেক যাওয়ার সুবিধা বেশি। তাই খাগড়াছড়ির পর্যটন ব্যবসায়ীরা বাড়তি ব্যবসায়িক সুবিধা পাচ্ছেন।
সরেজমিনে বৃহস্পতিবার সকালে খাগড়াছড়ির জেলা পরিষদ পার্ক ও আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রে প্রচুর পর্যটক দেখা গেছে। ছুটি কাটাতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এখানে পর্যটকরা এসেছেন।
ঢাকা থেকে আসা ফয়সাস, অভি ও ফারিয়া বলেন, টানা তিন দিনের ছুটি পেয়ে তারা খাগড়াছড়ি এসেছেন। বৃহস্পতিবার এখানে ঘুরবেন। প্রথমে গিয়েছেন জেলা পরিষদ পার্কে। এরপর আলুটিলায়। কাল [শুক্রবার] যাবেন রাঙামাটির সাজেক। শনিবার ফিরে যাবেন।
আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক চন্দ্র কিরণ ত্রিপুরা বলেন, “আলুটিলায় প্রচুর পর্যটক সমাগম হয়েছে। সকাল থেকে পর্যটক আসা শুরু হয়েছে। দুপুর পর্যন্ত অন্তত এক হাজার পর্যটক আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রে প্রবেশ করেছে।”
টানা তিন দিনের এই ছুটিতে পর্যটক সমাগম বাড়ায় হোটেল মোটেলে চাঙা ভাব বিরাজ করছে।
খাগড়াছড়ির বেসরকারি আবাসিক হোটেল গাইরিংয়ের তত্ত্বাবধায়ক প্রান্ত বিকাশ ত্রিপুরা বলেন, “আগামী তিন দিন হোটেলের সব কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে। বিজয় দিবসের বন্ধে প্রচুর পর্যটক এসেছেন। এভাবে পর্যটক আসা অব্যাহত থাকলে করোনাকালের ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারব।”
খাগড়াছড়ি পর্যটন মোটেলের ইউনিট ব্যবস্থাপক এ কে এম রফিকুল ইসলাম বলেন, “পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িতে প্রচুর পর্যটক এসেছেন। এখানকার ৩০টি আবাসিক হোটেলে আগামী তিন দিন কোনো রুম খালি নেই। তিন দিনের বন্ধ ছাড়াও চলতি মাসে প্রচুর পর্যটকের চাপ আছে। পর্যটকদের আগমনে করোনাকালের ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারব।”
খাগড়াছড়ি ট্যুরিস্ট পুলিশের ইনচার্জ বিজন দে বলেন, “খাগড়াছড়ির আলুটিলা, রিছাং ঝরনা, জেলা পরিষদ পার্ক ও মায়াবিনী লেকে পর্যটকের নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশ কাজ করছে। পর্যটকদের ভ্রমণে নিরাপত্তার কোনো সমস্যা নেই।