বিজয়ের ৫০ বছর উদযাপনে সারাদেশ

ডিসপ্লে, কুচকাওয়াজ, আলোচনা সভাসহ নানা রকম কর্মসূচির মধ্য দিয়ে সারাদেশে বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করছে স্থনীয় বিভিন্ন সংগঠন ও সাধারণ মানুষ।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Dec 2021, 08:10 AM
Updated : 16 Dec 2021, 12:02 PM

বৃহস্পতিবার দিবসের প্রথম প্রহরে শহীদ বেদিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনসহ মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার শান্তি কামনায় দোয়া-মোনাজাত করে এসব কর্মসূচি শুরু হয়।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:

নেত্রকোণা

ভোরে নেত্রকোণায় ৫০ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে শুরু হয় বিজয় দিবসের কর্মসূচি। এর মধ্যে রয়েছে শহীদ বেদিতে  শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন, মার্চপাষ্ট, শরীরচর্চা, ডিসপ্লে, মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, আলোচনা, সাংস্কৃতিক পরিবেশনাসহ অন্য আরও আয়োজন।

সকালে শহরের সাতপাই ও জেলা কালেক্টরেট ভবন প্রাঙ্গণের শহীদ বেদিতে ডিসি কাজি মো. আব্দুর রহমান, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রশান্ত রায়, নেত্রকোণা পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম খান, স্থানীয়বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, উন্নয়ন সংস্থা ও সাধারণ জনতা শহীদদের প্রতি ফুলেল শ্রদ্ধা জানান।

টাঙ্গাইল

তোপধ্বনি, জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বীর শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া, শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন, আলোচনা সভা, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেওয়াসহ বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে টাঙ্গাইলে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস উদযাপন করা হচ্ছে।

ময়মনসিংহ

বিনম্র শ্রদ্ধা ও যথাযোগ্য মর্যাদায় ময়মনসিংহে বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপিত হচ্ছে।

বিভাগীয় শহরের পাটগুদাম ব্রিজ মোড়ে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধে ভোর ৬টা ৩৪ মিনিটে ৫০ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে বিজয় দিবসের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এরপর প্রথমে শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান ময়মনসিংহ সিটির মেয়র মো. ইকরামুল হক টিটু।

পরে একে একে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বিভাগীয় কমিশনার শফিকুর রেজা বিশ্বাস, পুলিশের রেঞ্জ ডিআইজি ব্যারিস্টার হারুন অর রশিদ, জেলা প্রশাসক মো. এনামুল হক, জেলার পুলিশ সুপার মো. আহমার উজ্জামান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইউসুফ খান পাঠানসহ বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের বিভাগীয় প্রধান, বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষ।

ফরিদপুর

মহান বিজয়ের সুবর্ণ জয়ন্তী নানা অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে পালিত হচ্ছে ফরিদপুরে । এ উপলক্ষে সকালে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি নামফলকে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এছাড়া প্রশাসনের উদ্যোগে বিজয় শোভাযাত্রা বের করা হয়।

তার আগে শহীদের আত্মার শান্তি কামনায় এক মিনিট নীরবতা পালন ও বিশেষ দোয়া করা হয়।

ফরিদপুরের ডিসি অতুল সরকার, পুলিশ সুপার আলিমুজ্জামান, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শামসুল হক ভোলা, পৌরসভার মেয়র অমিতাভ বোস, আওয়ামী লীগ সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহা, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মাসুদ হোসেন, প্রেসক্লাব সভাপতি কবিরুল ইসলাম সিদ্দিকী অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

পরে শহরের শেখ জামাল স্টেডিয়ামে কুচকাওয়াজ ও মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

কুমিল্লা

শ্রদ্ধা আর বিনম্র ভালবাসায় বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী পালন করা হচ্ছে কুমিল্লায়।

দিবসটি উপলক্ষে সকালে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের শ্রদ্ধা জানান কুমিল্লার ডিসি মোহাম্মদ কামরুল হাসান, পুলিশ সুপার ফারুক আহম্মেদ, স্থানীয় বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীসহ শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ।

চুয়াডাঙ্গা

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সকাল সাড়ে ৬টায় চুয়াডাঙ্গার শহীদ হাসান চত্বরের শহীদদের নামফলকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান চুয়াডাঙ্গার ডিসি নজরুল ইসলাম সরকার, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুব হোসেন মেহেদীসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, সামাজিক-রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ।

চুয়াডাঙ্গা পুরাতন স্টেডিয়ামে কুচকাওয়াজ, ডিসি সাহিত্য মঞ্চে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য দোয়া করার পর শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

দিনাজপুর

দিনাজপুরে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে উদযাপিত হচ্ছে মহান বিজয় দিবস। ভোরে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণের মধ্য দিয়ে শুরু কর্মসূচি। 

ভোর ৬টা ৪০ মিনিটে দিনাজপুরের ডিসির কার্যালয় চত্বরে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দেন ডিসি খালেদ মোহাম্মদ জাকী ও পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন। পরে অন্যান্য সংগঠন ও সাধারণ মানুষ শ্রদ্ধা জানায়।

সকাল ৯টায় গোর-এ শহীদ ময়দানে সরকারি বিভিন্ন বাহিনী ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে হয় কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে। কুচকাওয়াজে সালাম গ্রহণ করেন ডিসি ও পুলিশ সুপার।

এছাড়া দিনব্যাপী কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, মুতিযুদ্ধবিষয়ক আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ।

গাজীপুর

নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে গাজীপুরে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত হচ্ছে। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ৫০ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিনের কর্মসূচি শুরু করে জেলা পুলিশ।

পরে জেলা প্রশাসন, সিটি করপোরেশন, জেলা পরিষদ, প্রেসক্লাব, গাজীপুর আওয়ামী লীগ এবং বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে ভাওয়াল রাজবাড়ি মাঠসংলগ্ন মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিফলকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

সকাল সাড়ে ৮টায় শহীদ বরকত স্টেডিয়ামে কুচকাওয়াজে অংশ নেন জেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও সংগঠনের সদস্যরা। এছাড়া জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বঙ্গতাজ মিলনায়তনে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

খাগড়াছড়ি

যথাযথ ভাবগাম্ভীর্যে খাগড়াছড়িতে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত হচ্ছে। সকালে মাইনী ভ্যালীতে স্মৃতিস্তম্ভে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে শুরু হয় দিবসের কর্মসূচি।

শহীদদের স্মরণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস, ভারত শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু, খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসন, খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাব, খাগড়াছড়ি সাংবাদিক ইউনিয়নসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

এছাড়া সকালে শিশু একাডেমি মিলনায়তনে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

শেরপুর

যথাযথ সম্মান আর শ্রদ্ধায় শেরপুরে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। সকালে জেলার শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবকের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়।

এ সময় বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা প্রশাসক মোমিনুর রশীদ, পুলিশ সুপার হাসান নাহিদ চৌধুরী, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এবং জেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

সকাল সাড়ে ৮টায় আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পর জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার প্যারেড পরিদর্শন করেন। দুপুরে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সদর উপজেলার ২৫১ জন মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

রংপুর

নানা আয়োজনে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত হচ্ছে। সকাল সোয়া ৯টায় বিশ্ববদ্যালেয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাসিবুর রশীদ জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিবস পালনের কর্মসূচি শুরু করেন।

পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা স্মারকে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন উপাচার্য অধ্যপক ড. হাসিবুর রশীদ, উপ-উপাচার্য সরিফা সালোয়া ডিনা, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন বিভাগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতি, শিক্ষক সমিতি, অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন, কর্মচারী ইউনিয়ন, বেরোবি শাখা ছাত্রলীগ, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

দিবসের কর্মসূচিতে আরও রয়েছে ভার্চুয়াল আলোচনা সভা, ক্যাম্পাসে আতশবাজি ও ফানুস উড়ানো।

মাদারীপুর

বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মাদারীপুরে মহান বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে। সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গণে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান ডিসি রহিমা খাতুন, জ্যেষ্ঠ জেলা ও দায়রা জজ নিতাই চন্দ্র সাহা, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদ, পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুনির চৌধুরীসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি অফিসের কর্মকার্তা-কর্মচারীরা।

পরে কুচকাওয়াজ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। দুপুরে জেলা পরিষদের উদ্যোগে মুক্তিযোদ্ধাদের সবংর্ধনা ও সম্মাননা প্রদান করা হয়।

গোপালগঞ্জ

মহান বিজয় দিবসের প্রথম প্রহর রাত ১২টা ১ মিনিটে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বিজয় দিবসের কর্মসূচির সূচনা করেন ডিসি শাহিদা সুলতানা।

পরে পুলিশ সুপার আয়েশা সিদ্দিকা, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ গোপালগঞ্জ জেলা ইউনিটের প্রশাসক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, জেলা আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনসহ সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

বেলা ১১টায় বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মুহাম্মদ ফারুক খান। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খান, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ আবুল বশার খায়ের, সাধারণ সম্পাদক মো. বাবুল শেখ, পৌর মেয়র শেখ তোজাম্মেল হক টুটুলসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।