বুধবার রাতে সদর উপজেলার চরমটুয়া ইউনিয়নের মনারখিল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে বলে সুধারাম মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ সাহেদ উদ্দিন জানান।
নিহত মেহেরাজ উদ্দিন (১২) ওই ইউনিয়নের রাউলদিয়া গ্রামের পাটোয়ারী বাড়ির মো. মোহনের ছেলে। স্থানীয় ঠেকারহাট হাজী আহম্মদ উল্ল্যা উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ত সে।
আর মো. সংগ্রাম (১১) নেয়াজের ডগী গ্রামের মো. সবুজের ছেলে। সে স্থানীয় উদয় সাধুরহাট ইকরা প্রি-ক্যাডেট একাডেমির পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
দক্ষিণ জগৎপুর গ্রামের নূর ইসলামের ছেলে মো. রাসেল (২০) এবং মো. সেলিমের ছেলে জয়নালকে (২১) আহত অবস্থায় নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, মেহেরাজ, রাসেল, সংগ্রাম ও জয়নালসহ স্থানীয় ৮-১০ জন শিশু-কিশোর বুধবার বিকালে পিকআপ ভ্যানে চড়ে চরমটুয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী কামাল উদ্দিন বাবলুর প্রচার মিছিলে যোগ দেয়।
রাত পৌনে ৮টার দিকে ইউনিয়নের মনারখিল গ্রামের পীর মোছলেহ উদ্দিন সাহেবের মাজারের সামনে চলন্ত পিকআপের এক পাশের ডালা খুলে ৪-৫ জন নিচে পড়ে যায়।
এ সময় মেহেরাজ পাশের আরেকটি পিকআপের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। আহতদের প্রথমে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে ঢাকায় নেওয়ার পথে মারা যায় সংগ্রাম।
আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী কামাল উদ্দিন বাবলু চরমটুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান।
তিনি বলেন, “মনারখিলে আমার একটি কর্মী সভা ছিল। ওরা পিকআপে চড়ে সেখানে আসতেছিল। আমাদের সভার শেষ পর্যায়ে পিকআপের ডালা খুলে ৫-৬ পড়ে যায়। ঘটনাস্থলে মেহরাজ মারা যায়। তার লাশ রাতেই দাফন হয়েছে।
“সংগ্রাম নামে আরও এক শিশুকে ঢাকায় নেওয়ার পথে মেঘনা সেতুর কাছে সে মারা যায়। তার লাশ এলাকায় দাফনের প্রস্তুতি চলছে।”
আর সুধারাম মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ সাহেদ উদ্দিন বলেন, “পুলিশ খবর পেয়ে সেখানে গিয়েছিল। নিহত শিশুর লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবার নিয়ে গেছে।”