শেরপুরে পৃথক হত্যা মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন

শেরপুরে পৃথক হত্যা মামলায় দুই ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

শেরপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 Dec 2021, 03:42 PM
Updated : 15 Dec 2021, 03:42 PM

জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ আল মামুন বুধবার দুপুরে আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।

একইসঙ্গে উভয় আসামিকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৩ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলার গড়কান্দা মহল্লার আমির হোসেনের ছেলে মফিজুল ইসলাম কালু (৩৩) ও ঝিনাইগাতী উপজেলার তামাগাঁও গ্রামের মৃত শাহাজ উদ্দিন বেপারীর ছেলে বাচ্চু মিয়া (৫২)।

বাবুল হত্যা মামলার বরাতে আদালতের পিপি চন্দন কুমার পাল জানান, মফিজুল ইসলাম কালুকে তালাক দিয়ে নালিতাবাড়ী উপজেলার উত্তর কোন্নগর এলাকার আরমান আলীর ছেলে বাবুল মিয়াকে (৩৫) বিয়ে করেন শাহিদা বেগম।

২০১৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে বাবুল ও শাহিদা ঘর থেকে বের হলে মফিজুল ছুরি দিয়ে বাবুলকে কুপিয়ে হত্যা করেন। ওই সময় শাহিদা ও স্থানীয় লোকজন কালুকে আটক করে পুলিশে দেয়। পরে কালু আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

ওই ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলার তদন্ত শেষে একই বছরের ১ মে কালুর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন এসআই আবুল মোকাররম নুরউদ্দিন। ১২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিচারক রায় ঘোষণা করেন।

আরেক মামলার নথির বরাতে পিপি বলেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ২০১৭ সালের ২৯ অগাস্ট সন্ধ্যায় ঝিনাইগাতী উপজেলার ডাকাবর গ্রামের গোলাম রব্বানীর সাত বছর বয়সী ছেলেকে স্কুলের খেলার মাঠ থেকে ডেকে নিজ ঘরে নিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন বাচ্চু মিয়া। পরদিন [৩০ অগাস্ট] সকালে পার্শ্ববর্তী রামেরকুড়া এলাকার মহিলা কলেজ সংলগ্ন নদীর পাড়ে ওই শিশুর লাশ পাওয়া যায়।

ওই দিনই থানায় মামলা হলে তদন্ত শেষে একই বছরের ৩০ নভেম্বর বাচ্চু মিয়া ও সহিতন নেছার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন এসআই খোকন চন্দ্র সরকার। মামলায় ১৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিচারক রায় ঘোষণা করেন।

অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় সহিতন নেছাকে খালাস দেওয়া হয়েছে।