সেনাসদস্য সাইফুল হত্যা মামলায় আটজনের মৃত্যুদণ্ড

ঝিনাইদহে তিন বছর আগে সেনাসদস্য সাইফুল ইসলামকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে আটজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।

খুলনা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 Dec 2021, 11:35 AM
Updated : 15 Dec 2021, 12:55 PM

খুলনার বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক নজরুল ইসলাম হাওলাদার বৃহস্পতিবার এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন: ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পশ্চিম বাংকিরা গ্রামের আকিমুল ইসলাম, বোড়াই গ্রামের মিজানুর রহমান, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ভুলতিয়া গ্রামের ডালিম মোল্লা, আসাননগর গ্রামের আব্বাস আলী, কৌদ মাহমুদ গ্রামের কাশেম মণ্ডল, আসাননগর গ্রামের ফারুক হোসেন, বাংকিরা গ্রামের মতিয়ার রহমান ও এনায়েতপুর গ্রামের মোক্তার মোড়ল।

তাদের মধ্যে ডালিম মোল্লা, মতিয়ার রহমান ও মোক্তার মোড়ল পলাতক। বাকিরা রায়ের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আহাদুজ্জামান জানান, মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি আসামিদের সবাইকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে রায়ে।

নিহত সাইফুল ইসলাম বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ল্যান্স করপোরাল পদে চাকরিরত ছিলেন। তার কর্মস্থল ছিল টাঙ্গাইলের ঘাটাইল আর্মি মেডিকেল ট্রেনিং সেন্টারে। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পশ্চিম বাংকিরা গ্রামে তার বাড়ি।

প্রতীকী ছবি

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৮ সালের অগাস্টে ছুটিতে বাড়ি গিয়েছিলেন সাইফুল। নৌবাহিনীতে কর্মরত তার ছোট ভাই মনিরুল ইসলামও ছুটিতে বাড়ি গিয়েছিলেন।

১৮ অগাস্ট রাতে বড় ভাইয়ের শ্বশুর সামসুল মোল্লাকে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছিলেন দুই ভাই। পথে সড়কের ওপর গাছ পড়ে থাকতে দেখে তারা বুঝতে পারেন যে ডাকাতি হচ্ছে।

ডাকাতরা তাদের ঘিরে ধরলে দুই ভাইয়ের সঙ্গে তাদের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ডাকাতরা সাইফুলকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায়। মনিরুল ও সামসুল মোল্লাও হামলায় আহত হন। পরে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক সাইফুলকে মৃত ঘোষণা করেন।

পরদিন সাইফুলের বাবা হাফিজ উদ্দীন বাদী হয়ে ঝিনাইদহ সদর থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলাটি পরে বিচারের জন্য খুলনা বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে যায়।

সাইফুল ইসলামের স্ত্রী শাম্মী আক্তার রায়ের প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “আসামিরা সংঘবদ্ধ ডাকাতদলের সদস্য। প্রধান আসামি স্বীকার করেছে, সে কুপিয়ে খুন করেছে, অন্যরা ওই খুনে সহযোগিতা করেছে। সব আসামির মৃত্যুদণ্ড হওয়ায় ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।”

অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী সৈয়দ তৌফিক উল্লাহ বলেন, “এ মামলার কোনো প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী ছিল না। শোনা সাক্ষীর ওপর ভর করে মামলার রায় দেওয়া হয়েছে। আমরা ন্যায়বিচার বঞ্চিত হয়েছি। আমরা উচ্চ আদালতে যাব।”