তাছাড়া মাদারীপুরের আদালতে তার বিরুদ্ধে আরেকটি মানহানি মামলার আবেদন করা হয়েছে।
যশোরে মামলাটি করেছেন জেলার মণিরামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন।
বাদীর আইনজীবী সুব্রত ব্যানার্জি বলেন, “সম্প্রতি বিএনপি নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের আক্রমণাত্মক, মিথ্যা, কুরুচিপূর্ণ ও বিদ্বেষ ছড়ানো বক্তব্য প্রচারমাধ্যমে এসেছে, যেখানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার দল আওয়ামী লীগের সুনাম ও সম্মানহানি করা হয়েছে।
“বাদী গত ৭ ডিসেম্বর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিওতে এমন বক্তব্য শুনে আহত হয়েছেন। এ কারণে তিনি ন্যায়বিচার প্রত্যাশায় আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন।”
আইনজীবী বলেন, বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে সমন জারির নির্দেশ দিয়েছে। আদালত আগামী ১৮ জানুয়ারি বিবাদীকে আদালতে হাজির হতে বলেছে।
প্রায় একই সময় মাদারীপুরের বিচারিক হাকিম ফয়সাল আল-মামুনের আদালতে আরেকটি মামলার আবেদন করেছেন জেলা কৃষক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আইনজীবী জাফর ইমাম সুজন।
আবেদনে তিনি অভিযোগ করেছেন, বিএনপি নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল গত ১ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির এক আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কে কটূক্তি করেন এবং কুরুচিপূর্ণ ও মানহানিকর বক্তব্য দেন। সেই সঙ্গে তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিয়েও মানহানিকর বক্তব্য দেন।
“আলালের বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর সম্মানহানি হয়েছে। এতে সারা দেশের মানুষ ব্যথিত হয়েছে। তাই তার বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগ এনেছি।”
আদালত তার আবেদন এখনও আমলে নেয়নি।
তার আইনজীবী সুজন ভৌমিক বলেন, “দণ্ডবিধির ৫০০/৫০১/৫০৫(ক)(খ)/৫০৪ ধারায় মামলা নিতে আবেদন করেছি। আশা করছি, আমরা আদালতের কাছ থেকে সুবিচার পাব।”
সম্প্রতি আলালের বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আসার পর আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা তার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। মামলা-বিক্ষোভ-মিছিল-সমাবেশ হয়েছে কয়েক জায়গায়। তাছাড়া কুশপুত্তলি দাহ করার ঘটনা ঘটেছে।
আলাল তার বক্তব্য প্রত্যাহার করে ‘ক্ষমা’ চেয়ে বিবৃতি পাঠিয়েছেন গণমাধ্যমে।
আরও পড়ুন: