কুমিল্লা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সোহান সরকার জানান, শহরের শুভপুর এবং চৌদ্দগ্রাম উপজেলার গুণবতি এলাকা থেকে সোমবার রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এরা হলেন- শুভপুরের মিজানুর রহমানের ছেলে মো. নাজিম উদ্দিন ওরফে নাদিম এবং গুণবতি এলাকার মৃত বাচ্চু মিয়ার ছেলে রিশাত।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, মামলার এজাহারে রিশাত ও নাজিম উদ্দিনের নাম নেই। সিসিটিভি ফুটেজে দেখে তাদের শনাক্ত করা হলে অ্যান্টিটেররিজম ইউনিট ও কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্র্যান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি) তাদের গ্রেপ্তার করে।
সিসিটিভির ফুটেজে হত্যা মামলার প্রধান আসামি শাহ আলমের সঙ্গে নাজিমকে গুলি করতে করতে সুজানগর পাথুরিয়া পাড়া সড়কে এগিয়ে আসতে দেখা গেছে বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।
গত ২২ নভেম্বর বিকালে কুমিল্লা শহরের পাথুরিয়াপাড়ায় ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেলের সিমেন্টের দোকান ‘থ্রি স্টার এন্টারপ্রাইজে’ হামলা চালায় একদল মুখোশধারী। সেখানে থাকা সোহেল এবং তার সহযোগী ওয়ার্ড শ্রমিক লীগের সভাপতি হরিপদ সাহাকে তারা গুলি করে হত্যা করে। এতে আহত হন আরও চারজন।
কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য ও ১৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সোহেল ২০১২ ও ২০১৭ সালে কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। দ্বিতীয় মেয়াদে তিনি প্যানেল মেয়র ছিলেন।
এ ঘটনায় পরদিন সোহেলের ছোট ভাই সৈয়দ মো. রুমন কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এতে ১১ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত পরিচয় আরও ১০ জনকে আসামি করা হয়।
এ পর্যন্ত মামলার এজাহারভুক্ত ১১ আসামির মধ্যে প্রধান আসামি শাহ আলমসহ ৩ জন পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছে। আর গ্রেপ্তার হয়েছে এজাহারনামীয় সাতজন। তাদের মধ্যে ছয়জনের পাঁচদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে।
এর মধ্যে মামলার ২ নম্বর আসামি সোহেল ওরফে জেল সোহেল ও ১০ নম্বর আসামি সায়মনকে রিমান্ড শেষে জবানবন্দি রেকর্ড করে আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: