অপহরণের পর ‘৪০ লাখ টাকা’ দাবি, চার দিন পর মিললো লাশ

পাবনার পাকশী থেকে চার দিন আগে মুক্তিপণের জন্য অপহৃত এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

পাবনা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 Dec 2021, 04:12 AM
Updated : 14 Dec 2021, 04:12 AM

হৃদয় হোসেন নামের ৪০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশী ইউনিয়নের নতুন রূপপুর গ্রামের মজনু আলীর ছেলে।

সোমবার রাত সোয়া ৯টার দিকে উপজেলার দাশুড়িয়া নওদাপাড়া থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয় বলে ঈশ্বরদী থানার ওসি আসাদুজ্জামান আসাদ জানান।

তিনি বলেন, হৃদয়কে অপহরণের পর ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছিল। এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছিল তার পরিবার।

“অপহরণকারীরা হয়ত অপহরণের এক-দুদিন পরেই হৃদয়কে মেরে ফেলেছে। লাশটি থেকে গন্ধ ছড়াচ্ছিল। এক অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।”

হৃদয়ের ভাই জীবন হোসেন জানান, গত ১০ ডিসেম্বর সকালে পাকশীর রূপপুর তিনবটতলা এলাকা থেকে হৃদয়কে প্রকাশ্যে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।

“সকালে দোকানে যাওয়ার পরপরই একটি সাদা মাইক্রোবাস থামতে দেখি। কিছু বুঝে ওঠার আগেই কয়েকজন হৃদয়কে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে পাবনার দিকে চলে যায়। পরে ঈশ্বরদী থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছিল।”

হৃদয়ের বাবা মজনু আলী বলেন, অপহরণের পর শুক্রবার বিকেলে তার ছেলের মোবাইল থেকে তাকে ফোন করে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা।

“সেদিনই আমরা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলাম। চার দিন পর লাশ পেলাম।“

পাকশী পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক আতিকুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর থেকেই তারা হৃদয়কে উদ্ধারের চেষ্টায় ছিলেন। যারা মুক্তিপণের টাকা দাবি করেছিল, সেই চক্রের একজনকে সোমবার রাতে তারা গ্রেপ্তার করেন।

“তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী দাশুড়িয়া-লালন শাহ সেতুর মহাসড়কের নওদাপাড়া দোতলা মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় চাঁদ আলী নামের এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে হৃদয়ের লাশ উদ্ধার করা হয়।

অপহরণকারী চক্রটি ওই বাড়ি ভাড়া নিয়ে তাদের কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিল বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।