সোমবার সকালে নেতাকর্মীদের নিয়ে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন তিনি।
এ নিয়ে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী ও বিএনপির [স্বতন্ত্র] চার জনসহ ১১ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেন।
তৈমুর আলম খন্দকার বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা। তিনি ২০১১ সালের সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে বিএনপি দলীয় প্রার্থী হলেও ভোট গ্রহণের ৮ ঘণ্টা আগে দলীয় সিদ্ধান্তে নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
তৈমুর আলম খন্দকারের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মতিয়ুর রহমান জানান, মেয়র পদে এ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ দলীয়সহ ১১ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করে তৈমুর আলম খন্দকার সাংবাদিকদের বলেন, “নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আমাকে ইতোপূর্বে একাধিকবার দলীয় মনোনয়ন প্রদান করা হয়েছে। ২০১১ সালে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেও দলীয় সিদ্ধান্তের কারণে আমি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াই।”
এর আগে মেয়র পদে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি বর্তমান মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
স্বতন্ত্র থেকে মনোনয়নপত্র নেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল, নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের সাবেক সাংসদ বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, সুলতান মাহমুদ, খেলাফত মজলিশের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব এবিএম সিরাজুল মামুন, জয় বাংলা নাগরিক কমিটির সদস্য কামরুল ইসলাম বাবু ও খেলাফত অন্দোলন বাংলাদেশের মো. জসিম উদ্দিন, কল্যাণ পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব রাশেদ ফেরদৌস, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাসুম বিল্লাহ্ মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
গত ৩০ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন আগামী ১৫ ডিসেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই ২০ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ২৭ ডিসেম্বর এবং ভোট গ্রহণ আগামী বছরের ১৬ জানুয়ারি।
সব কেন্দ্রে এবার ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ করা হবে।