হাত ভাঙার পর তাকে হাসপাতালে না পাঠিয়ে মাদ্রাসায় চার দিন আটকে রাখারও অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীর মা।
মায়ের অভিযোগ, আমতলী পৌরশহরের দারুল আরকাম মডেল মাদ্রাসার শিক্ষক আবু আক্কাস আলী প্রথমে তার ছেলেকে লাঠি দিয়ে পেটান। শিশুটি চিৎকার করলে আক্কাস আলী ক্ষিপ্ত হয়ে ডাস্টার দিয়ে আঘাত করেন।
“এতে তার হাত ভেঙে যায়। এ অবস্থায় ছেলেকে চিকিৎসা করাননি ওই শিক্ষক এবং অভিভাবকেও জানাননি। বরং মাদরাসার একটি কক্ষে চার দিন ধরে তাকে আটকে রাখের এই শিক্ষক।”
মা বলেন, গত ৯ ডিসেম্বর শিশুটির ওপর এই নির্যাতন চালানোর পর সোমবার তিনি মাদ্রাসায় যান।
“তখন ছেলে কান্না শুরু করলে আমি ঘটনা জানতে পারি। দেখি যে সে ব্যথায় হাত নাড়াতে পারছে না।”
তাকে তিনি মাদ্রাসা থেকে আমতলী হাসপাতালে নিয়ে যান।
হাসপাতালের মেডিকেল টেনোলজিস্ট মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “প্রচণ্ড আঘাতে শিশুটির বাম হাতের জয়েন্ট সরে গেছে। হাতে ব্যান্ডেজ করে দেওয়া হয়েছে।”
সোমবার দুপুরে মাদরাসায় গিয়ে তালাবদ্ধ দেখা গেছে।
শিক্ষক আবু আক্কাস আলী অভিযোগ সম্পর্কে বলেন, “পড়া না পারায় সামন্য দু-একটি চড়থাপ্পড় দিয়েছি।”
ডাস্টার দিয়ে আঘাত করার কথা অস্বীকার করেন তিনি । আটকে রাখার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কিছু বলতে পারেননি।
আমতলী থানার পরিদর্শক রণজিৎ সরকার বলেন, “হাত ভাঙা বাচ্চাকে নিয়ে এক নারী থানায় এসেছিলেন। তিনি মৌখিকভাবে শিক্ষক আক্কাস আলীর বিরুদ্ধে পিটিয়ে হাত ভাঙার অভিযোগ দিয়েছেন। তাকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে।”
লিখিত অভিযোগ দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।