ওই ইউনিয়নের মোল্লারহাট বাজারে শুক্রবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে বলে হামলায় আহত সোহানুর রহমান সোহাগ জানিয়েছেন।
দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নের ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ৩২ বছর বয়সী সোহাগের বাড়ি মোল্লারহাট বাজারে। তাকে রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এ হামলার ঘটনায় দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সভাপতি আবদুর রশিদ মোল্লা ও তার পরিবারের লোকজনদের দায়ী করেছেন সোহাগ।
সোহাগ জানান, দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও ইউপি নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান আবু সালেহ মিন্টু ফরায়েজির পক্ষে কাজ করেন তিনি। গত ২৮ নভেম্বরের তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে তিনি ফরায়েজিকে ভোট দেন। এ নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রশিদ মোল্লা, তার ছেলে মনির হোসেন মোল্লা ও দিদার হোসেন মোল্লা ক্ষিপ্ত ছিলেন।
তিনি বলেন, “রশিদ মোল্লার নির্দেশেই দিদার, মঞ্জু ও হোসেন মোল্লাসহ ৮-১০ জন মোল্লারহাট বাজারে আমার আমার উপর হামলা চালায়। এ সময় এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আমার মাথায় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করা হয়।”
ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সালেহ মিন্টু ফরায়েজি বলেন, “দল থেকে বহিষ্কৃত রশিদ মোল্লার অনুসারীরা সোহাগের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।”
এ বিষয়ে জানতে রশিদ মোল্লার সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন দিদার হোসেন মোল্লা। তিনি বলেন, “সোহাগকে কে বা কারা মেরেছে আমি তা জানি না। ঘটনার সঙ্গে আমার পরিবারের কেউ জড়িত নয়।“
রায়পুর থানার ওসি আবদুল জলিল জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে হামলার বিষয়ে এখনও কোন লিখিত অভিযোগ পাননি তারা।