প্রাণিবিদ্যা বিভাগের কীটতত্ত্ব শাখার উদ্যোগে একাদশতম এই মেলা শুরু হয় শুক্রবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান অডিটরিয়ামের সামনে। সন্ধ্যায় শেষ হওয়ার আগে দিনভর চলে প্রাণের কোলাহল।
তিনি শৈশবের স্মৃতি হাতড়ে বলেন, “ছোটবেলায় প্রজাপতি ধরে বাক্সে আটকে রাখতাম। মা বলতেন, এটা ঠিক না। এখন আর আগের মত প্রজাপতি দেখা যায় না। এটি শুধু বাংলাদেশের সমস্যা না, বৈশ্বিক উষ্ণতার কারণে গোটা বিশ্বেই এই সমস্যা।”
এবার মেলার স্লোগান ছিল ‘উড়লে আকাশে প্রজাপতি, প্রকৃতি পায় নতুন গতি’।
মেলায় প্রতিবারের মত এবারও ছিল প্রজাপতির হাট দর্শন, শিশু-কিশোরদের জন্য প্রজাপতি বিষয়ক ছবি আঁকা ও কুইজ প্রতিযোগিতা, প্রজাপতি বিষয়ক আলোকচিত্র প্রতিযোগিতা ও প্রদর্শনী, প্রজাপতি চেনা প্রতিযোগিতা, প্রজাপতির আদলে তৈরি ঘুড়ি ওড়ানোর প্রতিযোগিতা, বারোয়ারি বিতর্ক প্রতিযোগিতা, প্রজাপতি বিষয়ক তথ্যচিত্র প্রদর্শন ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান।
মেলার আহ্বায়ক প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মনোয়ার হোসেন বলেন, বাংলাদেশে প্রজাপতির ৩০০টি প্রজাতি রয়েছে। এর মধ্যে কেবল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়েই রয়েছে ৫০ থেকে ৬০টি।
প্রজাপতি মেলা বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা বাড়াচ্ছে বলে মনে করেন অধ্যাপক মনোয়ার।
২০১০ সাল থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রজাপতি মেলা হয়ে আসছে। তবে গত বছর হয়নি। করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে গত বছর মেলার আয়োজন সম্ভব হয়নি বলে জানান অধ্যাপক মনোয়ার হোসেন।