রাজশাহীতে ছাত্রলীগ নেতা শাহিন হত্যায় ৯ জনের ফাঁসির রায়

রাজশাহীতে আট বছর আগে ছাত্রলীগ নেতা ও শিক্ষানবিশ আইনজীবী শাহিন আলম হত্যা মামলায় সিটি করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলরসহ নয়জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ২২ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

রাজশাহী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Dec 2021, 08:54 AM
Updated : 9 Dec 2021, 09:41 AM

চৌদ্দবার পেছানোর পর বৃহস্পতিবার রাজশাহীর মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক ওএইচএম ইলিয়াস হোসেন এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।

তাছাড়া আদালত ফাঁসির নয় আসামিকে এক লাখ টাকা করে এবং যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত ২২ জনকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছে।

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে মনসুর রহমান রাজশাহী সিটির সাবেক কাউন্সিলর। অন্যরা হলেন হাসানুল জামান হিমেল, তৌফিকুল ইসলাম চাঁদ,  মোহাম্মদ মহাসিন, সাইরুল, রজব, বিপ্লব,  মোমিন ও আরিফুল ইসলাম।

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন মাহাবুল হোসেন,  সাত্তার, সাজ্জাদ হোসেন, বখতিয়ার আলম রানা, হাসান আলী, মাসুদ, রাসেল, রাজা, মুতুর্জা, সুমন, আসাদুল, আক্তারুল, জইদুর রহমান, ফরমান আলী, জয়নাল আবেদীন, রাজু আহমেদ, আকবর আলী, সম্রাট হোসেন, লাল মোহাম্মদ, টিয়া আলম, আজাদ হোসেন ও মাসুম।

রায় ঘোষণার সময় আসামিরা সবাই আদালতে ছিলেন।

আদালতের পিপি মুসাব্বিরুল ইসলাম মামলার নথির বরাতে জানান, ২০১৩ সালের ২৮ অগাস্ট শাহিন আলমকে হত্যা করা হয়। শাহিন ছিলেন রাজশাহী কোর্ট কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষানবিশ আইনজীবী।

ঘটনার পরদিন তার ভাই যুবলীগ নেতা নাহিদ আক্তার নাহান বাদী হয়ে রাজপাড়া থানায় মামলা করেন।

মামলায় রাজশাহী সিটির ১ নম্বর ওয়ার্ডের তৎকালীন কাউন্সিলর মুনসুর রহমানসহ ৩১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। গত বছর ১১ নভেম্বর আদালতে এ মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের ১৮ জন ও আসামিপক্ষের চারজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করে আদালত।

পিপি বলেন, “আদালত এ মামলায় রায় ঘোষণার দিন ১৪ বার পিছিয়ে দেয়। অবশেষে বৃহস্পতিবার ১৫তম দিনে রায় ঘোষণা করা হল। এ হত্যাকাণ্ড পরিকল্পিত বলে আদালত রায়ের পর্যবেক্ষণে উল্লেখ করেছে।”

নিহত শাহিন রাজশাহী সিটির ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রজব আলীর ছোট ভাই। তার অপর ভাই নাহিদ আক্তার নাহান যুবলীগ নেতা।

রায়ের প্রতিক্রিয়ায় নাহান বলেন, “ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। রায়ে আমরা খুশি। এখন সরকারের কাছে আবেদন জানাই যেন দ্রুত রায় কার্যকর করা হয়।”

তবে আসামিপক্ষের আইনজীবী আমিদুল তথ্য-প্রমাণে ‘যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে’ বলে দাবি করেছেন।

তিনি বলেন, “ঘটনার তথ্য-প্রমাণে যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে। এছাড়া ঘটনাস্থলে হত্যার কোনো আলামত নেই। কোনো রক্তও পাওয়া যায়নি। এ অবস্থায় এ মামলায় সাজা হওয়া আশাব্যাঞ্জক নয়। আমরা ব্যথিত, দুঃখিত। আমরা এর বিরুদ্ধে আপিল করব।”