বুধবার ভোর রাতে নগরীর লোয়ার যশোর রোডের সুন্দরবন হোটেল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তার জাহাঙ্গীর আলম এসআই পুলিশের নগর গোয়েন্দা শাখায় কর্মরত রয়েছেন। তিনি চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামের বাসিন্দা।
খুলনা থানার ওসি হাসান আল মামুন জানান, মোংলা থেকে অসুস্থ মেয়েকে ডাক্তার দেখানোর জন্য মঙ্গলবার বিকালে এক গৃহবধূ খুলনা আসেন।
মামুন বলেন, কিন্তু ডাক্তারের সিরিয়াল না পেয়ে তার ভাগনের পূর্ব পরিচিত আবাসিক হোটেল সুন্দরবনে দুটি কক্ষ ভাড়া নেন। একটি কক্ষে মা-মেয়ে ও অপরকক্ষে তার ভাগনে আলিমুল ইসলাম বাবু ছিলেন।
“রাত আড়াইটার দিকে নগর গোয়েন্দা পুলিশের এসআই জাহাঙ্গীর জোরপূর্বক মা-মেয়ের কক্ষে যান। এরপর অসুস্থ মেয়ের সামনে তার মাকে ধর্ষণ করেন।”
মামুন জানান, এ সময় তার চিৎকারে হোটেলের ম্যানেজার এগিয়ে যান। তিনি গোয়েন্দা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও খুলনা থানায় ফোন করেন। পরে খুলনা থানা পুলিশ গিয়ে এসআই জাহাঙ্গীরকে আটক করে।
ওসি আরও জানান, এ ঘটনায় রাত ৪টার দিকে ওই নারী বাদী হয়ে খুলনা থানায় ধর্ষণ মামলা করেছেন। এসআই জাহাঙ্গীরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ওই নারীকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠানো হয়েছে বলেও তিনি জানান।
খুলনা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার ডেপুটি কমিশনার বি এম নুরুজ্জামান বলেন, “ঘটনার সময় এসআই জাহাঙ্গীর মাতাল ছিলেন।”