গত বৃহস্পতিবার [২ ডিসেম্বর] পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের পরিচালক মো. জামিনুর রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই কথা জানানো হয় বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. মোরাদ হোসেন জানান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মো. মোরাদ হোসেন বলেন, ইউজিসির চিঠিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষ থেকে মানবিকী অনুষদের অধীন ইতিহাস বিভাগ খোলার ‘ভূতাপেক্ষ অনুমোদন’ প্রদানের তথ্য জানানো হয়।
“আমরা ইউজিসির নির্দেশনা সম্বলিত চিঠি পেয়েছি। সে অনুযায়ী কাজ শুরু করা হয়েছে।”
ইউজিসির অনুমোদন না নিয়ে ২০১৭ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ইতিহাস বিভাগ চালু করা হয়। পরে বিভাগের অনুমোদন দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।
ইউজিসির ওই চিঠিতে ইতিহাস বিভাগ খোলার অনুমোদন ছাড়াও আরও পাঁচটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, প্রস্তাবিত কৃষি অনুষদের অনুমোদন প্রদানের পাশাপাশি শেখ হাসিনা কৃষি ইনস্টিটিউটের অধীন কৃষি, লাইভস্টক সায়েন্স অ্যান্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন এবং ফিশারিজ অ্যান্ড বায়োসায়েন্স বিভাগ কৃষি অনুষদের অধীনস্থ হিসেবে গণ্য করা হবে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ইনস্টিটিউট শুধুমাত্র গবেষণা কার্যে ব্যবহৃত হবে। এ সকল ইনস্টিটিউট থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি প্রদান করা যাবে না।
এছাড়া অদূর ভবিষ্যতে ইউজিসির অনুমতি ছাড়া কোনো অবস্থাতেই আর কোনো বিভাগের কার্যক্রম শুরু করা যাবে না বলে চিঠিতে বলা হয়েছে।
একইসঙ্গে স্নাতক প্রথম বর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে মানবিকী, সামাজিক বিজ্ঞান, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৬০ জন এবং বিজ্ঞান, জীব বিজ্ঞান ও ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৪০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও চিঠিতে স্নাতক প্রথম বর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে আদিবাসী ও প্রতিবন্ধী কোটা ছাড়া উপাচার্য কোটাসহ সকল কোটা বাতিল করার নির্দেশনা দিয়েছে ইউজিসি।