অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সোহান সরকার জানান, সোমবার রাতে কুমিল্লা সদরের বাংলাবাজার ও পাঁচথুবী থেকে ডিবি পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করেছে।
মঙ্গলবার তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের হেফাজতে নিয়েছে ডিবি পুলিশ।
গ্রেপ্তাররা হলেন মামলার ২ নম্বর আসামি নবগ্রামের শাহ আলমের ছেলে সোহেল ওরফে জেল সোহেল (২৭) ও ১০ নম্বর আসামি একই এলাকার মৃত শামছুল হকের ছেলে সাইমুন (২৯)।
সোহান সরকার বলেন, গ্রেপ্তারদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের পুলিশ রিমান্ড আবেদন করে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম চন্দন কান্তি নাথের আদালতে হাজির করা হয়। আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে।
পরে ডিবি পুলিশ তাদের হেফাজতে নিয়ে গেছে বলে সোহান সরকার জানান।
গ্রেফতারকৃতদের অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ (দশ) দিনের পুলিশ রিমান্ড আবেদনসহ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত- ১ এ উপস্থাপন করে ডিবি পুলিশ ।
এক কাউন্সিলারকে জিজ্ঞাসাবাদ
এদিকে, সকাল ৯টায় ১৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলার জাহাঙ্গীর হোসেন বাবুলকে ডিবি কার্য্যালয়ে এনে জিঞ্জাসাবাদ করেছে। দিনভর বৈরী আবহওয়া উপেক্ষা করেও জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে ভিড় করেন ওই এলাকার নেতাকর্মীসহ সাধারণ নারী পুরুষ। সন্ধ্যায় ডিবি কা্য্যালয় থেকে ফিরেন কাউন্সিলার বাবুল।
গত ২২ নভেম্বর বিকাল ৪টার দিকে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ১৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেল ও তার সহযোগী হরিপদ সাহাকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এ সময় আরও পাঁচ জন গুলিবিদ্ধ হন।
ঘটনার পরদিন নিহত কাউন্সিলরের ছোট ভাই সৈয়দ মো. রুমন বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। এই মামলাটি ডিবি পুলিশকে (জেলা গোয়েন্দা শাখা) তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এ পর্যন্ত মামলায় এজাহারনামীয় সাতজন ও সন্দেহভাজন তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-পুলিশ। এরই মধ্যে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন মামলার প্রধান আসামি শাহ আলম, সাব্বির হোসেন ও সাজন মিয়া।
এ মামলার এজাহারনামীয় পলাতক আসামি রনিকে গ্রেপ্তার করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।