মোল্লারহাট থানার ওসি সোমেন দাশ জানান, মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে জনি শেখ (১৮) ও নাহিদা আক্তার (১৬) নামে এই দম্পতির লাশ উদ্ধার করেন তারা।
জনি উপজেলার উদয়পুর ইউনিয়নের গাড়ফা গ্রামের কৃষক কালাম শেখের ছেলে।
বছর খানেক আগে জনি ও নাহিদার বিয়ে হয়। তারা কোনো পেশাগত কাজের সঙ্গে ছিলেন না।
ওসি সোমেন পরিবারের বরাতে বলেন, সকালে জনির মা পারিবারিক কাজে পাশের বাড়িতে যান। সে সময় জনি ও নাহিদা বাড়ি ছিলেন। পরে জনির মা বাড়ি ফিরে দুইজনকেই গলায় ফাঁস নেওয়া দেখতে পান। টিনশেড ঘরের আড়ায় পাশাপাশি রশি দিয়ে ফাঁস নিয়ে ঝুলছিলেন তারা। জনির মা চিৎকার করলে প্রতিবেশীরা এসে তাদের হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি বলেন, “বিয়ের পর প্রথম থেকেই তাদের বনিবনা হচ্ছিল না। ঝগড়া-বিবাদ লেগে থাকত। পারিবারিক অশান্তির কারণে তারা আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।”
মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে বলে জানান ওসি সোমেন দাশ।
একই দিন জেলার মোংলায় খাল থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে বলে মোংলা থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলাম জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, সকালে মোংলা উপজেলার মোংলা নদীর কাটাখালী ও নারকেলতলা সংযোগ খালে ভাসমান এই শিশুর মরদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
মেয়েশিশুটির বয়স আনুমানিক ২৮ সপ্তাহ বলে জানালেও ওসি তার পরিচয় বলতে পারেননি।