সুগন্ধী কালোজিরা ধান কাটা শুরু বগুড়ায়

পোলাওয়ের চাল আসে যেসব ধান থেকে সেই সুগন্ধী স্যাল্লা, কালোজিরা, ব্রি-৩৪ ধানের মৌসুম শুরু হয়েছে বগুড়ায়।

জিয়া শাহীন বগুড়া প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 Dec 2021, 08:05 AM
Updated : 7 Dec 2021, 08:05 AM

এর মধ্যে বাণিজ্যিকভাবে বেশি চাষ হয় সুগন্ধী ব্রি-৩৪, যা অধিক লাভজনক বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মো. এনামুল হক বলেন, সাল্লা-কালোজিরা চাষ হয় কম জমিতে। এগুলোর বাণিজ্যিক চাষ হয় কম। অধিক লাভজনক হওয়ায় বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের উদ্ভাবিত উচ্চফলনশীল ব্রি-৩৪ চাষে কৃষক বেশি আগ্রহী।

“বগুড়ায় এবার ব্রি-৩৪ ধান ১৩ হাজার ৮৬০ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে, যা অন্য সব সুগন্ধী ধানের চেয়ে বেশি। এই ধান বিঘাপ্রতি ১০-১৫ মণ উৎপাদন হয়, যেখানে অন্য সুগন্ধী ধান হয় বিঘাপ্রতি পাঁচ থেকে ছয় মণ। ব্রি-৩৪ ধান  অন্য ধানের চেয়ে বেশি লাভজনক।”

বাজারে চিনিগুঁড়া চাল নামে যা পাওয়া যায় তার মধ্যে ব্রি-৩৪ ধানও রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “ভারতীয় সুগন্ধী চাল বলে বাজারে যা বিক্রি হয় তা আসলে দেশি ব্রি-৩৪। নন-ব্রান্ডের কিছু প্রতিষ্ঠান এই চাল কৃত্রিম সেন্ট দিয়ে প্যাকেটজাত করে; তারপর ভারতীয় বলে চালিয়ে দেয়; দামও বেশি নিয়ে থাকে।

“বাজারে সবই চিনিগুঁড়া বলে বিক্রি হলেও বেশির ভাগই ব্রি-৩৪, কিন্তু বাজারে আপনি ব্রি-৩৪ নামে কোনো চাল পাবেন না।”

সরজমিনে বগুড়ার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, সুগন্ধী ধান কাটাই-মাড়াই করে ঘরে তোলা শুরু করেছেন চাষিরা।

নন্দীগ্রাম উপজেলার কুন্দারহাট গ্রামের সাজেদুর মিয়া বলেন, তিনি সাড়ে ছয় বিঘা জমিতে ব্রি-৩৪ চাষ করেছেন। বিঘাপ্রতি ১০ থেকে ১২  মণ ধান উৎপাদন হয়।

“ভাতের ধানের চেয়ে এই সুগন্ধী ধানের দাম বেশি। ভাতের ধান বেশি উৎপদন হলেও সুগন্ধী ব্রি-৩৪ চাষে লাভ বেশি হয়।”

তবে কম উৎপাদন হলেও সাল্লা, কালোজিরা ধানও চাষ করেন অনেকে।

ধুনট উপজেলার চিথুলিয়া গ্রামের সোহেলী আখতার নামে একজন কৃষাণী জানান, তারা এ বছর প্রায় ১৫ শতক জমিতে কালোজিরা চাষ করেছেন নিজেদের খাওয়ার জন্য।

একই গ্রামের রাবিন সরকার নামে একজন চাষি বলেন, নিজেদের জন্য তারা এ বছর ১০ শতক জমিতে স্যাল্লা চাষ করেছেন।

বিভিন্ন সময় উৎসব ও অতিথি আপ্যায়নের জন্য তারা এই চাল দিয়ে পোলাও-পায়েস ইত্যাদি রান্না করেন বলে তারা জানান।