ফরিদপুরের জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে রোববার বিকালে স্থানীয় সরকার (ইউপি) নির্বাচন বিষয়ে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, “যেকোনো নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে নির্বাচনী আইনের প্রয়োগ সঠিক ও যথাযথ করতে হবে। আচারণবিধি সকল প্রার্থীর ক্ষেত্রে সমানভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। তবেই একটি ভালো নির্বাচন উপহার দেওয়া যাবে।”
নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী কোনো প্রার্থীর সাথে অযথা বৈরী আচরণ করা যাবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, “রিটার্নিং কর্মকর্তাদের তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে হবে, কোনো শক্তির কাছে নত হওয়া যাবে না।”
নির্বাচন কমিশনার বলেন, “নির্বাচন কাজে দায়িত্বপ্রাপ্ত সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট সকলকে নিষ্ঠার সাথে একযোগে কাজ করতে হবে। সংবিধান নির্বাচন পরিচালনার যে দায়িত্ব দিয়েছে তা সকলকেই মানতে হবে। তবেই সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে পারব।”
তিনি বলেন, চলমান স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দেশে নিবন্ধিত ২১টি রাজনৈতিক দল অংশ নিচ্ছে। এছাড়াও অন্যান্য দলের কর্মীরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নিচ্ছেন। যে কারণে এ নির্বাচনে ৭০ থেকে ৭৫ শতাংশ ভোট প্রয়োগ হচ্ছে।”
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকারের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোস্তফা ফারুক, জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার যুগ্ম পরিচালক শাহিদুজ্জামান, বোয়ালমারীর ইউএনও রেজাউল করিম, আলফাডাঙ্গা ইউএনও তৌহিদুল ইসলাম ও ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি কবিরুল ইসলাম সিদ্দিকী প্রমুখ।