নীলফামারীতে গ্রেপ্তার পাঁচ ‘জঙ্গি’ তিন দিনের রিমান্ডে

নীলফামারী সদরের সোনারায় ও সংগলশী থেকে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জেএমবির সদস্য সন্দেহে গ্রেপ্তার পাঁচ জনকে তিন দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত।

নীলফামারী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 Dec 2021, 03:20 PM
Updated : 5 Dec 2021, 03:20 PM

নীলফামারী সদর থানার পরিদর্শক আব্দুর রউপ জানান, পাঁচ ‘জঙ্গিকে’ রোববার বিকালে নীলফামারীর অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম মো. হাফিজুল ইসলামের আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ।

“শুনানি শেষে বিচারক তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।”

এর আগে আটক পাঁচ জনসহ ছয় জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ছয় জনকে আসামি করে সকালে নীলফামারী সদর থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করে র‌্যাব।

র‌্যাব-১৩ রংপুরের উপ-সহকারী পরিচালক (ডিএডি) আব্দুল কাদের বাদী হয়ে মামলাটি করেন বলে জানান পরির্দশক আব্দুর রউপ।

র‌্যাব-১৩ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মাহমুদ বশির আহমেদ বলেন, শনিবার জঙ্গিবিরোধী অভিযানে আটক নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জেএমবির ‘রংপুর অঞ্চলের সামরিক শাখার প্রধান’ আহিদুল ইসলাম আহিদসহ পাঁচ জঙ্গিকে নীলফামারী সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

“রোববার সকালে ছয় জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ছয় জনকে আসামি করে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা করা হয়। মামলার প্রধান আসামি জেএমবির সামরিক শাখার সদস্য শরীফ পলাতক রয়েছে।”

তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে উল্লেখ করে তিনি জানান, এতে আরও যারা জড়িত রয়েছে তাদেরও চিহ্নিতকরণের কাজ চলছে।

মাহমুদ বশির আহমেদ বলেন, শুক্রবার থেকে শনিবার ভোর রাত পর্যন্ত নীলফামারী সদরের সোনারায় ও সংগলশী ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন ‘জেএমবির’ পাঁচ সদস্যকে আটক র‌্যাব।

পরে তাদের দেওয়া তথ্যমতে সোনারায়ের পুঠিহারী মাঝাপাড়া গ্রামে জঙ্গি আস্তানার সন্ধান পেয়ে শনিবার ভোরে ওই গ্রামের একটি বাড়ি ঘিরে রাখে র‌্যাব সদস্যরা। সকাল ১০টার দিকে ওই গ্রামের শরীফুল ইসলাম ওরফে শরীফের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে শক্তিশালী একটি বোমা ও বোমা তৈরির সরঞ্জামসহ রাসায়নিক দ্রব্য, একটি পিস্তল, একটি ম্যাগজিন ও পাঁচ রাউন্ড গুলিসহ অন্যান্য সরঞ্জাম জব্দ করে র‌্যাব।

তবে র‌্যাব পৌঁছানোর আগেই ‘জেএমবি সদস্য’ শরীফ কৌশলে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান বলে মাহমুদ বশির জানান।

গ্রেপ্তাররা হলেন আহিদুল ইসলাম ওরফে আহিদ ওরফে পলাশ (২৬), ওয়াহেদ আলী ওরফে আব্দুর রহমান (৩০), আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে ডা. সুজা (২৬), জাহিদুল ইসলাম ওরফে জাহিদ ওরফে জোবায়ের (২৮) ও নুর আমীন ওরফে সবুজ (২৮)।

তাদের মধ্যে জাহিদুল ইসলাম ও ওহিদুল ইসলাম সহোদর ভাই। এদের সবার বাড়ি নীলফামারী সদরের সোনারায় ও সংগলশী ইউনিয়নে। 

নীলফামারী সদর থানার পরিদর্শক আব্দুর রউপ বলেন, সন্ত্রাসবিরোধী আইনে ছয়জনের নাম উল্লেখ করে রোববার সকালে থানায় মামলাটি করেছে র‌্যাব। এতে অজ্ঞাতপরিচয় আরও ছয় জনকে আসামি করা হয়েছে।