মাহামারীর কারণে প্রায় দুই বছর বন্ধ থাকার পর গত ১ ডিসেম্বর হলে ফেরেন শিক্ষার্থীরা। এরই মধ্যে ছাত্রলীগের বিবাদে আবার হল ছাড়াতে হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা।
শেখ হাসিনা ছাত্রী নিবাসের শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদৌসী বলেন, “গত ১ তারিখ হলে উঠেছি। ছাত্রলীগের বিবাদে হঠাৎ করে গত শনিবার রাত থেকে কর্তৃপক্ষ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে। বাড়ি থেকে কষ্ট করে এসে আবার বাড়ি ফিরে যেতে হচ্ছে। কয়েকদিন পরে ফাইনাল পরীক্ষা কি করব ভেবে পাচ্ছি না।।”
মুন্নি জাহান নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, আগামী ২৯ তারিখ তার ফাইনাল পরীক্ষা। বাড়ি থেকে সবকিছু গুছিয়ে এনে দেড় বছর পর হলে উঠেছেন। এর মধ্যে আবার হল বন্ধ করায় ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হল।
শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম হলের শিক্ষার্থী রিয়াদ হাসান বলেন, “ হঠাৎ করে হল বন্ধের সিদ্ধান্তে আমাদের সকল শিক্ষার্থীকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। রাতে হল ছেড়ে এক বন্ধুর মেসে উঠেছি। শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে কর্তৃপক্ষ দ্রুত হল খোলে দিবে বলে আশা করি।”
জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক ও আনন্দ মোহন কলেজের ছাত্র ওয়াহেদুর রহমান সবুজ বলেন, “প্রায় দুই বছর পর হল খোলায় অনেক আশা ভরসা নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা হলে উঠেছে। তুচ্ছ ঘটনায় হল বন্ধের সিদ্ধান্তে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ভোগান্তিতে পড়েছে। আমরা হল খোলার সিদ্ধান্তে বিক্ষোভ মিছিল ও জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেছি। ”
গত ৩ ডিসেম্বর রাতে আনন্দ মোহন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের ইউনিটটি জেলা ছাত্রলীগের অন্তর্গত ইউনিট হিসেবে বিবেচিত হবে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের এমন প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এরপর থেকে মহানগর ও জেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়াতে থাকে।
শনিবার দিনভর কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। উত্তেজনার মুখে সন্ধ্যার দিকে কলেজের হল বন্ধের নির্দেশনা দেন কর্তৃপক্ষ।
“ছাত্ররা রাতেই হল ত্যাগ করেছে এবং ছাত্রীরাও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে হল ছেড়েছে।”
এদিকে ছাত্ররীগের দুপক্ষের বিবাদে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠায় ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
রোববার সকাল থেকে আনন্দ মোহন কলেজের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে এবং ছাত্রীরা নিরাপদে হল ছেড়েছেন বলে কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) ওয়াজেদ আলী জানান।