কক্সবাজার জোন ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত সুপার মো. মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, শনিবার সকালে শহরের কলাতলী হোটেল-মোটেল জোনের এক আবাসিক হোটেলে এই যুবকের মরদেহ পাওয়া যায়।
মৃত সঞ্জয় কুমার সরকার (২৮) সিরাজগঞ্জের সালঙ্গা উপজেলার ভূঁইয়াগাতির বাসিন্দা। তিনি বিবাহিত এবং দুই সন্তানের জনক।
পুলিশ হেফাজতে নেওয়া ১৮ বছর বয়সী তরুণীও সিরাজগঞ্জের একই এলাকার বাসিন্দা।
হোটেল কর্তৃপক্ষের বরাতে মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, শনিবার সকালে আবাসিক হোটেল ‘আলম গেস্ট হাউজের’ একটি কক্ষে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে এক পর্যটকের ফাঁস দেওয়ার কথা জানায় হোটেল কর্তৃপক্ষ।
“খবর পেয়ে পুলিশ পৌঁছার আগেই হোটেল কর্তৃপক্ষ তাকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।”
"মৃত যুবকের গলায় রশি জাতীয় কিছু একটার আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।"
ঘটনার বিবরণে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, হোটেল কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্য মতে, সঞ্জয় কুমার সরকার ও এক তরুণী স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে মঙ্গলবার দুপুরে হোটেলে ওঠেন। শনিবার সকালে হোটেল কক্ষে সঞ্জয়কে গলায় ফাঁস দিতে দেখে ওই তরুণী শোর-চিৎকার শুরু করে। পরে হোটেলটির লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হোটেল কক্ষে অবস্থানকারী ওই তরুণীকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে জানান মহিউদ্দিন আহমেদ।
তরুণীকে জিজ্ঞাসাবাদ ও নিহতের পরিবারের স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগের বরাতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, সঞ্জয় কুমার সরকার বিবাহিত। তার স্ত্রী ও দুই সন্তান রয়েছে। তিনি একই এলাকার এই তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন।
তিনি আরও জানান, সঞ্জয় প্রেমিকাকে সঙ্গে নিয়ে সাত দিন আগে বাড়ি থেকে পালিয়ে আসেন। তিন দিন আগে কক্সবাজার পৌঁছে আলম গেস্ট হাউজে ওঠেন। এ ঘটনায় সিরাজগঞ্জের সালঙ্গা থানায় তরুণীর বাবা বাদী হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।