শনিবার জামালপুরের বকশীগঞ্জে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ধর্মনিরপেক্ষতা মানে ধর্মহীনতা নয়। এ দেশে সবারই পূর্ণ ধর্মীয় অধিকার রয়েছে। কেউ কাউকে এতে বাধা দিতে পারবে না।
“তবে ধর্ম নিয়ে রাজনীতি বা ধর্ম নিয়ে ব্যবসা এ দেশে চলবে না। ধর্মকে পুঁজি করে যারা রাজনীতি করে, তাদের ধর্মপ্রীতি নিতান্তই লোক দেখানো। ধর্মীয় অনুশাসনকে এরা কখনোই অন্তর দিয়ে গ্রহণ করে না এবং অনুশাসন মেনে চলে না।”
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পৃথিবীর নির্যাতিত, নিপীড়িত, শোষিত, বঞ্চিত, মুক্তিকামী মানুষের আজন্মের অনুপ্রেরণা ছিলেন উল্লেখ মুরাদ বলেন, “জাতির পিতার জয় বাংলা শ্লোগানে অনুপ্রাণিত হয়েই সাত কোটি নিরস্ত্র বাঙালি যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। তাই যতক্ষণ নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস আছে জয় বাংলার গান গাইব।”
“সেই রাজাকারের বাচ্চারা এখনও এই বাংলায় বসবাস করছে এবং নিত্যনতুন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তাদের এই ষড়যন্ত্র আমাদেরকেই রুখে দিতে হবে।”
শনিবার বিকালে বকশিগঞ্জ উপজেলার ‘ধানুয়া কামালপুর হানাদারমুক্ত দিবস’ উপলক্ষে আলোচনা সভায় মুরাদ বিশেষ অতিথি ছিলেন।
বৃহত্তর ময়মনসিংহ সমন্বয় পরিষদ সভাপতি মো. আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সাবেক মন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ, সাবেক জ্যেষ্ঠ সচিব জাফর উদ্দীন ও সাবেক জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আব্দুস সামাদ, হারুন হাবীব, রাশেদুল হাসান শেলী প্রমুখ।