ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, বিজয়ী প্রার্থীর সমর্থকরা শুক্রবার রাত ৯টার দিকে পরাজিত প্রার্থীর সমর্থকদের ১০টি বাড়িতে হামলা করে ভাঙচুর চালায়। এতে পরাজিত প্রার্থীর বেশ কয়েকজন সমর্থক আহত হন।
কালকিনি থানা পুলিশ ও ভুক্তভোগীরা জানায়, দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর ইউপিতে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন সাবেক চেয়ারম্যান ফজলুল হকের স্ত্রী মৌসুমি সুলতানা ও তোফাজ্জেল হোসেন গেন্দু কাজী। নির্বাচনে বিজয়ী হন মৌসুমী সুলতানা।
ভুক্তভোগীদের ভাষ্য, বিরোধের জের ধরে বিজয়ী চেয়ারম্যান প্রার্থী মৌসুমী সুলতানার লোকজন দেশে তৈরি অস্ত্র নিয়ে পরাজিত প্রার্থী তোফাজ্জেল হোসেন গেন্দু কাজীর সমর্থক খোকন মেম্বার, শাজাহান মেম্বার ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল কাদের মাস্টারের বাড়িসহ ১০টি বাড়িতে ভাঙচুর চালায়।
তাদের অভিযোগ, এ সময় তাদের বাধা দিলে কমপক্ষে পাঁচ জন আহত হন। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। পরে খাসেরহাট তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী তোফাজ্জেল হোসেন গেন্দু কাজী বলেন, “মৌসুমী সুলতানার স্বামী ফজলুল বেপারীর নির্দেশে রাতের অন্ধকারে আমার কর্মী সমর্থকদের বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়েছে।”
বিজয়ী চেয়ারম্যান প্রার্থী মৌসুমী সুলতানার স্বামী ফজলুল হক বলেন, “এ মারামারি নির্বাচন নিয়ে হয়নি। অন্য কারণে হয়েছে।”
তার লোকজন এতে জড়িত নয় উল্লেখ করে ফজলুল হক বলেন, “ওদের লোকজনই (পরাজিত প্রার্থীর) নিজেরা মারামারি করে আমার নেতাকর্মীদের ওপর দোষ দেওয়ার চেষ্টা করছে।”
ভুক্তভোগী খোকন মেম্বার, শাজাহান মেম্বার ও মুক্তিযোদ্ধা আবদুল কাদের বলেন, তাদের অপরাধ তারা গেন্দু কাজীকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচন করেছিলেন। তারা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চেয়েছেন।
এ ব্যাপারে কালকিনি থানার ওসি ইসতিয়াক আসফাক রাসেল বলেন, “মারামারির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত থানায় কেউ অভিযোগ নিয়ে আসেনি।”
অভিযোগ পেলে পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।