ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট ও পবা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শেখ এহসান উদ্দীনের নেতৃত্বে শনিবার সকাল ৯টায় ভবন ভাঙার কাজ শুরু হয়।
এসহান বলেন, অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ভবন দুটি উচ্ছেদে তারা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি পান। ৩০ দিন আগে উচ্ছেদ সংক্রান্ত নোটিশ মেয়র আব্বাস আলীর দেওয়া হয়। কিন্তু কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। তাই আইন অনুযায়ী ভবন দুটি ভাঙা কাজ শুরু হয়েছে।
শনিবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সকাল ৯টার মধ্যেই জেলা প্রশাসনের লোকজন উচ্ছেদ কার্যক্রমে অংশ নেওয়ার জন্য চলে আসে। এরপর শ্রমিক ও বুলডোজার দিয়ে ভাঙার কাজ শুরু হয়। কিছু শ্রমিককে হাতুড়ি দিয়ে ভাঙতে দেখা গেছে। ভবন ভাঙার খবরে কাটাখালী বাজারে মানুষের ভিড় লেগে যায়।
পবা উপজেলা সহকারী কমিশনার জানান, জলাবদ্ধতা নিরসনে বছর খানেক আগে কাটাখালী পৌরসভার ওপর দিয়ে যাওয়া খাল ১৭ কোটি টাকা ব্যয়ে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ পুনঃখনন করে। গত এপ্রিলের দিকে কাটাখালীর মেয়র সরকারি এই খালের ওপর ভবন নির্মাণ শুরু করেন।
ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে সরকারি খালের ব্রিজের দক্ষিণ প্রান্ত থেকে খালের ওপর প্রায় ১ হাজার ১৪৪ বর্গফুট জায়গাজুড়ে একটি তিনতলা ভবন নির্মাণ শুরু হয়। এখানে ইতোমধ্যে দুইতলা ভবন উঠে গেছে। অন্যদিকে ব্রিজের উত্তর পাশে খালের ওপর আরেকটি ভবনের দুইতলা উঠে গেছে।
সম্প্রতি পৌরসভার কয়েকজন কাউন্সিলর সরকারি খালের ওপর ভবন নির্মাণের অভিযোগ করেন। এই অভিযোগের ভিত্তিতে গত অগাস্ট পবা উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নির্মাণকাজ বন্ধের নির্দেশ দেন। এরপর কয়েকদিন নির্মাণকাজ বন্ধ থাকলেও পরে আবার শুরু হয়।
ভবনটি এমন সময়ে ভাঙা শুরু হল যখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল নিয়ে বিতর্কিত বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় মেয়র আব্বাস আলী কারাগারে। একই অভিযোগে তাকে পৌর আওয়ামী লীগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।