মুন্সীগঞ্জে ঘরে বিস্ফোরণে দগ্ধ দুই ভাই-বোনের মৃত্যু

মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার চর মুক্তারপুরের একটি ভবনে বিস্ফোরণ থেকে আগুনে দগ্ধ ভাই-বোনের মৃত্যু হয়েছে।

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Dec 2021, 07:01 PM
Updated : 2 Dec 2021, 07:03 PM

ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাতে তাদের মৃত্যু হয় বলে মুন্সীগঞ্জ সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাজিব খান জানিয়েছেন।

রাত সাড়ে ৯টায় ইয়াসিনের (৬) মৃত্যু হয়, তার আগে সন্ধ্যা ৭টায় মৃত্যু হয় ফাতেমা ওরফে নোহরের (৩)।

তাদের বাবা-মা এখনও একই হাসপাতালে ভর্তি আছেন। মা শান্তা বেগমের (২৭) শরীরের ৫৫ শতাংশ এবং বাবা কাওসার খানের (৩৬) শরীরের ৬০ ভাগ পুড়ে গেছে।

চিকিৎসকদের রাত দিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা রাজিব বলেন, শিশু দুটির বাবা-মার অবস্থাও আশঙ্কাজনক।

বৃহস্পতিবার ভোররাতে চর মুক্তারপুরের শাহ সিমেন্ট রোডে জয়নাল মিয়ার চারতলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় বিস্ফোরণ ঘটে।

এতে কাওসারের পরিবারের চারজনসহ পাঁচজন ঘুমন্ত অবস্থায় দগ্ধ হন। দগ্ধ অন্যজন তাদের প্রতিবেশী  হৃতিকা পালকে (৪) স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

প্রত্যক্ষদর্শী হাজী মজিবুর রহমান খান বলেন, “হঠাৎ বিকট শব্দ হয়। এসে দেখি তিনটি রুমে আগুন। ৪০-৪৫ মিনিট পর ফায়ার সার্ভিস আসে। তার আগেই স্থানীয় লোকজন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ”

পুলিশ কর্মকর্তা রাজিব বলেন, “প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, গ্যাস লিকেজ হয়ে কক্ষে জমে থাকা গ্যাস থেকে এই বিস্ফোরণ ঘটে। শীতের কারণে কক্ষের সব জানালা বন্ধ ছিল। তবে প্রকৃত কারণ উদঘাটনে তদন্ত চলছে। সিআইডি পুলিশের সংশ্লিষ্ট টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।”

এদিকে তিতাস গ্যাসের সহকারী কর্মকর্তা তারিকুল ইসলাম তুহিন বলেন, “গ্যাস লিগেজের কোনো প্রমাণ মেলেনি। তবে চুলোর সুইসটা তেমন ভালো না। রান্নার পরে চুলোর গ্যাস বন্ধ না করার কারণেও হতে পারে।”

মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাসিব সরকার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেন, বিস্ফোরণের মূল কারণ খুঁজে দেখা হবে।

কাওছার খান কিশোরগঞ্জ জেলা সদরের বাসিন্দা আব্দুস সালাম খানের ছেলে। তিনি প্রায় আট বছর ধরে মুন্সীগঞ্জের আবুল খায়ের গ্রুপে ওয়েল্ডার হিসাবে কর্মরত।