বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহীন বিষয়টি জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে ‘এফ’ ইউনিটের অধীনে আইন অনুষদে সাক্ষাৎকার দিতে এলে রায়ান আমিন আফ্রিদি নামের শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়।
সুদীপ্ত শাহীন বলেন, “ভর্তিচ্ছুর মূল পরীক্ষার ওএমআর-এর সঙ্গে সাক্ষাৎকারের সময়ের হাতের লেখায় মিল ছিল না। আইন অনুষদের ডিন বিষয়টি আমাদের জানালে আফ্রিদিকে আটক করে প্রক্টর অফিসে নিয়ে আসি।”
পরে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আফ্রিদি তার দোষ স্বীকার করে বলে জানান সুদীপ্ত শাহীন।
জিজ্ঞাসাবাদে রায়ান আমিন আফ্রিদি বলেন, “ফেইসবুকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সনেট নামে একজনের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। পরে জাবিতে এসে তার সঙ্গে দেখা করি। এ সময় তিনি আমার মূল কাগজপত্র নিয়ে যান। তিনি আমার হয়ে পরীক্ষায় অংশ নেন। পরে ভর্তি পরীক্ষায় আমার মেধাক্রম আসে ৫২।”
সনেটের সঙ্গে তিন লাখ টাকার বিনিময়ে জাবিতে চান্স পাইয়ে দেওয়ার চুক্তি হয় বলে জানান আফ্রিদি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে মামলা করা হবে। জালিয়াত চক্রের বাকি সদস্যদের ধরার চেষ্টা করছি।”
এর আগে ১ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের গাণিতিক ও পদার্থ বিষয়ক অনুষদে সাক্ষাৎকার দিতে আসা মোস্তফা কামাল নামে আরেক ভর্তিচ্ছুকে আটক করে আশুলিয়া থানায় সোর্পদ করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তার বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় একটি মামলা হয়েছে।