বৃহস্পতিবার ১৮৮ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে বেনাপোল ছেড়ে যায় আন্তঃনগর ট্রেনটি।
বেনাপোল স্টেশন মাস্টার মো. সাইদুজ্জামান বলেন, “দুপুরে বেনাপোল রেল স্টেশন থেকে ট্রেনটি ১৮৮ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। করোনা মহামারীর কারণে এ বছরের ৫ এপ্রিল থেকে ট্রেনটি বন্ধ ছিল।”
দীর্ঘ বিরতির পর পুরনো বগি ও শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কামরা ছাড়াই ট্রেনটি চালু হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এ ট্রেনে চলাচলকারী যাত্রীরা।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন, “শুরু থেকে ইন্দোনেশিয়ার তৈরি ৮৮৬ আসনবিশিষ্ট বেনাপোল এক্সপ্রেস চলাচল করে আসছিল। ১২টি বগির মধ্যে কেবিনে ছিল ৪৮ আসন, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত চেয়ার ছিল ৭৮টি। বাকি ৭৬০টি ছিল নন এসি চেয়ার।
“এখন যে ট্রেন দিয়ে বেনাপোল এক্সপ্রেস পুনরায় চালু করা করা হয়েছে সেটিতে যাত্রীসেবার মান সন্তোষজনক নয়। এখনকার ট্রেনটি ভারতের তৈরি। ট্রেনে কোনো শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কামরা নেই। আটটি বগিতে ৪৮টি কেবিন আসন আছে। বাকি ৭৪৫টিই ননএসি চেয়ার।”
ট্রেনের যাত্রী হাবিব চৌধুরী বলেন, “ব্যবসায়িক কাজে প্রতি মাসে ৪-৫ বার ঢাকা যেতে হয়। বেনাপোল এক্সপ্রেস চালু হওয়ার পর থেকে উড়োজাহাজে না গিয়ে ট্রেনে চলাচল শুরু করি। অনেকদিন পর পুনরায় ট্রেনটি চালু হওয়ায় খুশি হয়েছিলাম। কিন্তু শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কামরা না থাকায় আমার মত অনেকেই ট্রেনে যাওয়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে।”
সপ্তাহে এক দিন বিরতি দিয়ে বাকি ছয় দিন ঢাকা-বেনাপোল-ঢাকা রুটে ট্রেনটি চলাচল করছিল। করোনার সংক্রমণ দেখা দিলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কয়েকদিন চললেও দ্বিতীয় ঢেউয়ে এ ট্রেনের চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে অন্য সব রুটের আন্তঃনগর ট্রেন চালু হলেও বন্ধ ছিল বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনটি।
বেনাপোল স্টেশন মাস্টার মো. সাইদুজ্জামান বলেন, “ট্রেনের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ননএসি চেয়ার ৪৮৫ টাকা ও কেবিন প্রতি আসন ১১১৬ টাকা।“
ট্রেনটি বেনাপোল থেকে দুপুর পৌনে ১টায় ছেড়ে রাত ৮টা ৫০ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছাবে বলে জানান তিনি।