বাঘাইছড়ির উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম জানান, বুধবার রাত আনুমানিক সোয়া ৩টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়।
দীঘিনালা থেকে আসা ফায়ারসার্ভিসের কর্মীদের পাশাপাশি এলাকাবাসী ও আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সহযোগিতায় প্রায় আড়াই ঘণ্টার চেষ্টায় সেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
বৈদ্যুতিক গোলযোগ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন এই সরকারি কর্মকর্তা। তবে ক্ষয়ক্ষতির আর্থিক পরিমাণ এখনও জানা যায়নি। এ ঘটনায় কেউ হতাহতও হননি।
পাবর্ত্য জেলা রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় ভারত সীমান্তবর্তী সাজেক উপত্যকা এখন দেশের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য।
সাজেকের অবস্থান রাঙামাটি জেলায় হলেও সড়কপথে যোগাযোগ মূলত আরেক পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির মধ্য দিয়ে।
শীত এলেই সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে সতেরশ ফুট উঁচুতে পাহাড়-মেঘের মিতালি দেখতে পর্যটকরা ছুটে যান ‘মেঘের বাড়ি’ সাজেকে।
বিগত বছরগুলেতে সাজেক উপত্যকায় গড়ে উঠেছে বিপুল সংখ্যক রিসোর্ট, কটেজ ও রেস্তোরাঁ।
এর মধ্যে মারুয়ার্টি রেস্টুরেন্ট; অবকাশ, ইমানুয়েল ও মেঘছুট নামের তিনটি রিসোর্ট এবং জাকারিয়া লুসাই নামের এক ব্যক্তির বসতঘর ভষ্মীভূত হয়েছে বুধবার রাতের আগুনে।
চিলেকোঠা নামের একটি রিসোর্টের মালিক নাসিরউদ্দিন পিন্টু বলেন, “বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকেই আগুনের সূচনা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতা ঠিকমত না পেলে পুরো সাজেক আজ ছাই হয়ে যেত।”
মাচাং নু রিসোর্টের হপেন ত্রিপুরার ধারণা, আগুনের সূত্রপাত হয়েছিল ওই রোস্তারাঁ থেকে। তিনিও বলছেন, ‘অনেক বড় বিপর্যয়’ থেকে বেঁচে গেছে সাজেক।