বিএসএফের ৫৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বুধবার বিকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে আয়োজিত ‘জয়েন্ট রিট্রিট সেরিমনিতে’ সাংবাদিকদের সামনে এ মন্তব্য করেন তিনি।
এর আগে বিকাল সাড়ে ৪টায় আনুষ্ঠানিকভাবে দুই দেশের পতাকা নামানো হয়। করোনা পরিস্থিতির কারণে দীর্ঘদিন পতাকা নামানো অনুষ্ঠানটি বন্ধ ছিল।
পতাকা নামানো শেষে সুশান্ত কুমার নাথকে ফুল, মিষ্টি ও উপহার সামগ্রী দিয়ে বিএসএফের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শুভেচ্ছা জানান বিজিবি কুমিল্লা সেক্টরের কমান্ডার কর্নেল শাহরিয়ার ইকবাল। এ সময় বিএসএফের তরফ থেকেও বিজিবিকে উপহার সামগ্রী দেওয়া হয়।
সুশান্ত কুমার নাথ বলেন, “জয়েন্ট রিট্রিট সিরিমনির জন্য বিজিবির প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। ভারত ও বাংলাদেশ যেমন ভাই-ভাই, তেমনি বিজিবি-বিএসএফের বন্ধুত্ব অনেক শক্তিশালী। আশা করি আগামীতে আমাদের সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হবে। বিজিবি-বিএসএফ আগামীতে সীমান্ত ব্যবস্থাপনা আরও ভালোভাবে করবে।”
বিজিবি কুমিল্লা সেক্টরের কমান্ডার কর্নেল শাহরিয়ার ইকবাল বলেন, “আমরা চাই উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে সবসময় সুন্দর সম্পর্ক বজায় থাকুক। আমাদের মধ্যকার সমস্যাগুলো আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করব। সেজন্য আমরা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সবসময় বজায় রাখব। ভবিষ্যতে আমাদের সম্পর্কের বন্ধন আরও গাঢ় হোক।”
এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দৌলা খান, পুলিশ সুপার মো. আনিসুর রহমান, বিজিবির ৬০ ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর মো. নুরুল আফসার, ২৫ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফেরদৌস কবির, ১০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক মেজর রেজা, ১২০ বিএসএফের কমান্ডার রতনেশ কুমার ও ত্রিপুরার গোকুলনগরের ডেপুটি কমান্ডার হার্মিত সিংহ উপস্থিত ছিলেন।