মঙ্গলবার রাতে শ্রীবরদী থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তাররা হলেন লংগরপাড়া গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে কামরুজ্জামান (২৩), দুদু মিয়ার ছেলে শফিকুল ইসলাম (২৭) ও জামালপুর সদরের দেউরপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল সেকের ছেলে আয়নাল হক (৫০)।
গ্রেপ্তারদের বুধবার সকালে শেরপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান শ্রীবরদী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল হাশিম।
মামলার বরাতে তিনি জানান, কয়েক দিন আগে ওই গৃহবধূ বাবার বাড়ি বেড়াতে আসেন। তখন প্রতিবেশী কামরুজ্জামান তার কাছ থেকে এক হাজার টাকা ধার নেন। সোমবার দুপুরে ওই গৃহবধূ পাওনা টাকা ফেরত চান। ওইদিন সন্ধ্যার পর টাকা দেওয়ার কথা বলে কামরুজ্জামান গৃহবধূকে লংগরপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ডেকে নিয়ে যান। এ সময় তার সহযোগী শফিকুল ইসলাম ওই বিদ্যালয়ে অবস্থান করছিলেন।
পরিদর্শক হাশিম বলেন, সেখানে গেলে নৈশপ্রহরী আয়নাল হক বিদ্যালয়ের প্রধান ফটক খুলে দেন। রাত সাড়ে ৮টার দিকে কামরুজ্জামান, শফিকুল ও আয়নাল ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করেন। পরে গৃহবধূকে বিদ্যালয় থেকে বের করে দেন এবং ঘটনার কথা কাউকে না বলার জন্য হুমকি দেন। ভুক্তভোগী বাড়ি ফিরে অভিভাবকদের ঘটনাটি জানান।
আবুল হাশিম জানান, এ ঘটনায় গৃহবধূ বাদী হয়ে মঙ্গলবার শ্রীবরদী থানায় তিনজনকে আসামি করে মামলা করেন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে রাতেই তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ওই গৃহবধূকে শেরপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তারদের শেরপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।