গোবিন্দগঞ্জে মা-মেয়েকে ধর্ষণ, ‘জিনের বাদশার’ যাবজ্জীবন

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে মা ও মেয়েকে ধর্ষণ মামলায় কথিত জিনের বাদশা চক্রের তিন সদস্যের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে; একই সঙ্গে প্রত্যেকের এক লাখ টাকা করে অর্থদণ্ডও হয়েছে।

গাইবান্ধা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 Nov 2021, 05:57 PM
Updated : 30 Nov 2021, 05:57 PM

মঙ্গলবার গাইবান্ধার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মোহাম্মদ আবদুর রহমান আসামিদের উপস্থিতিতে এই রায় দেন।

সাজাপ্রাপ্তরা হলেন গোবিন্দগঞ্জের গোসাইপুর গ্রামের মমতাজ উদ্দিনের ছেলে বেলাল হোসেন (৪০), বদিউজ্জামানের ছেলে এমদাদুল হক (৪০) ও পার্শ্ববর্তী শ্যামপুর পার্বর্তীপুর গ্রামের দুদু মিয়ার ছেলে খাজা মিয়া (৩৮)।

মামলার দুই আসামি আসাদুল ইসলাম (২৫) ও আজিজুল ইসলাম (৩৫) খালাস পেয়েছেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মহিবুল হক সরকার মামলার বরাতে জানান, কয়েক বছর আগে খাজা মিয়া গভীর রাতে জিনের বাদশা পরিচয় দিয়ে জামালপুর জেলার বাসিন্দা এক নারী ও তার মেয়েকে তিনটি নম্বর থেকে ফোন দেন। গুপ্তধন পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে তাদের কাছ থেকে চার দফায় বিকাশের মাধ্যমে প্রায় এক লাখ ২০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, সর্বশেষ গুপ্তধন বুঝিয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ২০১৮ সালের ৬ মে দুপুরে ফোন দিয়ে মা ও মেয়েকে গোবিন্দগঞ্জে মাজারে আসতে বলেন। তাদের কথামত একই সালের ১১ মে তারা গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের বালুয়া বাজারে আসেন।

মহিবুল হক সরকার বলেন, জিনের বাদশা প্রতারক চক্রের সদস্যরা ওইদিন রাতেই মা-মেয়েকে একটি মাজারে নেওয়ার কথা বলে মোটরসাইকেলে তুলে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গিয়ে দলবেঁধে ধর্ষণ করে। পরে টাকা-পয়সা কেড়ে নিয়ে মা ও মেয়েকে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা শহরে নামিয়ে দিয়ে তারা পালিয়ে যায়।

এই ঘটনায় ধর্ষণের শিকার মা বাদী হয়ে একই সালের ১২ মে অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে গোবিন্দগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।

মহিবুল জানান, পুলিশ মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে খাজা মিয়াকে গ্রেপ্তার করে। পরে খাজা মিয়ার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী বেলাল হোসেন ও এমদাদুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আসাদুল ও আজিজুলকে সন্দেহজনকভাবে গ্রেপ্তার করা হয়।

আাসামি পক্ষের আইনজীবী সিরাজুল ইসলাম বাবু বলেন, তারা এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাবেন।