তিন বিদ্রোহীর দাপটে জামানত খোয়ালেন নৌকার প্রার্থী

তৃতীয় দফায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নেত্রকোণায় এক আওয়ামী লীগ প্রার্থী জামানত খুইয়েছেন; যাকে লড়তে হয়েছে দলের মনোনয়ন না পাওয়া তিন বিদ্রোহী প্রার্থীর বিরুদ্ধে।

নেত্রকোণা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 Nov 2021, 07:42 AM
Updated : 30 Nov 2021, 07:42 AM

জেলার পূর্বধলা উপজেলার পূর্বধলা ইউনিয়ন নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী মো. আব্দুল কাদিরের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে বলে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ শেখ জানান।

তিনি বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা ২০১০-এর ৪৪-এর ৩ ধারা অনুযায়ী নির্বাচনে ভোটারদের দেয়া মোট বৈধ ভোটের আট ভাগের এক ভাগ না পেলে প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়।

“পূর্বধলা ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী আব্দুল কাদির মোট বৈধ ভোটের আট ভাগের এক ভাগ না পাওয়ায় তার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।”

বাজেয়াপ্ত টাকা সরকারের কোষাগারে জমা হবে বলে তিনি জানান।

রোববার তৃতীয় দফায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোট হয়। ভোট গণনা শেষে পূর্বধলা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন আহমেদ ফল ঘোষণা করেন। তাতে দেখা যাচ্ছে, নৌকার প্রার্থী আব্দুল কাদির পেয়েছেন ৩৫১ ভোট।

আর আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়ে না পাওয়া তিন স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল করিম তুষার অটোরিকশা প্রতীকে পেয়েছেন পাঁচ হাজার ৬৩২ ভোট, মো. আফতাব উদ্দিন চশমায় পেয়েছেন তিন হাজার ১৪৭ ভোট আর মো. সিদ্দিকুর রহমান বুলবুল মোটর সাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ছয় হাজার ৩৭২ ভোট।

সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়ে জয় পান বুলবুল।

আব্দুল কাদিরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “দলের নেতা-কর্মীরা দুই গ্রুপের হওয়ায় আমার পক্ষে একজনও কাজ করে নাই। গতবার নির্বাচনে নৌকা নিয়ে দুই হাজার ৯০০ ভোট পেয়েও জয় পাইনি। ওই নির্বাচনেও দলের অনেক নেতা-কর্মী আমার বিরুদ্ধে কাজ করেছিলেন। গত নির্বাচনে তবু কিছু নেতা-কর্মী আমার হয়ে কাজ করেছিলেন।কিন্তু এবার কেউই নেই আমার সঙ্গে। তাই নির্বাচনে আমার এই বিপর্যয়।”

বিদ্রোহী প্রার্থী সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এরশাদ হোসেন মালু বলেন, “আব্দুল কাদিরের অভিযোগ সত্য নয়। দলের ভেতরে কোনো কোন্দল নেই। বিভাজন নেই। এলাকায় কাদিরের জনপ্রিয়তা নেই। এ কারণেই তার ফল এমন হয়েছে।”